জি-৭ নেতাদের নিমন্ত্রণ করলেন রানি এলিজাবেথ
রাজ সিংহাসনে বসার আগে তরুণী এলিজাবেথ ১৯৫১ সালে ওয়াশিংটন গিয়ে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তার পরের বছর ব্রিটেনের রানি হিসেবে অভিষেক হন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার পর থেকে কখনও আমেরিকা আবার কখনও ব্রিটেনে নানা সরকারি অনুষ্ঠানে ১২ আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এবার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সুবাদে ১৩তম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎটাও হয়ে গেল ব্রিটিশ রানির।
স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর এই প্রথম সপরিবার কোনো কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন রানি। ছিলেন সস্ত্রীক যুবরাজ চার্লস ও সস্ত্রীক রাজকুমার উইলিয়ামও। চারদিকে সবুজ গাছপালা আর রঙিন ফুলে আচ্ছাদিত উইনসর দুর্গে গত শুক্রবার এ রিসিপশনের আয়োজন করেন রানি।
তাই রানি পোশাকও বেছে নিয়ে ছিলেন ‘ফ্লোরাল’। দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের জনপ্রিয় দ্রষ্টব্যস্থল ইডেন প্রজেক্টে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করেন রানি। পরে উইনসর দুর্গে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিলকে চায়ের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন রানি।
জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই ছবি তুলেছেন রানি। তার দুপাশে বসা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে মশকরাও করেছেন। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি সহজ করে তোলার জন্য রানির উপস্থিতিই তাই যথেষ্ট বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
এ বছরের এপ্রিলে ৯৫ বছরে পা রেখেছেন রানি। কিন্তু রাজবাড়ির প্রথা মেনে জুন মাসের দ্বিতীয় শনিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে রানির জন্মদিনের অনুষ্ঠান ‘ট্রুপিং দ্য কালার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।