সাত দশক যাবৎ ন্যাটো’র অবিচ্ছেদ্য মিত্র দেশ তুরস্ক
১৯৫২ সালে যোগ দেয়ার পর গত ৬৯ বছর যাবৎ তুরস্ক ন্যাটো’র অবিচ্ছেদ্য সদস্য। চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলসে একটি শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো মিত্ররা মিলিত হওয়াকে কেন্দ্র করে এই জোটে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আবারো সবার সামনে প্রতিভাত হচ্ছে। আর এটা হচ্ছে যখন সিরিয়া ও তুরস্কের বিস্তৃত এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ বিদ্যমান।
১৯৫২ সালে ন্যাটো’র সদস্য হওয়ার পর থেকে (ন্যাটো গঠিত হওয়ার ঠিক ৩ বছর পর) তুরস্ক জোটের বৃহৎ অবদান রাখা অন্যতম অংশীদারের ভূমিকা পালন করছে এবং জোটের পরিচালনা ও সক্ষমতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিজেকে পরিগনিত করেছে তার দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনীর মাধ্যমে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গ্যানাইজেশন (ন্যাটো) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দফতর স্থাপিত হয় ব্রাসেলসে। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশসমূহ- বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আইসল্যান্ড, ইতালী, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্র- তুরস্ককে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করে।
চলতি মাসে ন্যাটো জোট ব্রাসেলসে তার ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করছে। এতে ন্যাটো দেশভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার পধানেরা উপস্থিত থাকছেন। ন্যাটোর চার্টারের অর্থাৎ চুক্তির ৫ নং ধারা অনুসারে, ন্যাটোভুক্ত কোন দেশের বিরুদ্ধে যে কোন আক্রমন জোটের সকল দেশের বিরুদ্ধে আক্রমন হিসেবে গন্য হবে।
ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলনপূর্ব মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে ন্যাটো’র মহাসচিব জেনস্ স্টলটেনবার্গ বলেন, আমি মনে করি, তুরস্ক ন্যাটো জোটের এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। যে কেউ মানচিত্রের দিকে তাকালে এসব ভূখন্ড, তুরস্কের বিশাল ভূমির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন। এছাড়া তুরস্ক ন্যাটোভুক্ত একমাত্র দেশ, যার সীমান্ত রয়েছে ইরাক ও সিরিয়ার সাথে। তিনি চলমান অভিবাসী ও শরনার্থী সংকট মোকাবেলায় তুরস্কের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় একটি সন্ত্রাসী করিডোর প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সফলভাবে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়ে আসছে তুরস্ক। ফলে এই এলাকার বাসিন্দারা শান্তিপূর্নভাবে বসবাসে সক্ষম হচ্ছেন।