যুক্তরাজ্যে চাকুরী প্রার্থী ইইউ নাগরিকদের সংখ্যা ৩৬ শতাংশ হ্রাস
যুক্তরাজ্যে চাকুরী অনুসন্ধানকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকের সংখ্যা ৩৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ব্রেক্সিটের পর থেকে এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি এক নতুন পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ‘ইনডীড’ নামক চাকুরী অনুসন্ধান বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে যে, স্বল্প মজুরীর চাকুরী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালের লেভেল থেকে ৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ইনডীড জানায়, সরকারের নতুন অভিবাসন নীতিতে ‘দক্ষ’ শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এবং বিদেশী নাগরিকদের জন্য এ ধরনের শর্ত পূরণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ইউরোপীয় ইউনিয়নের শ্রমিক হ্রাসের ফলে দেশে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে সতর্ক বানী উচ্চারণ করেছে। বিশেষভাবে আতিথেয়তা খাতে এ শ্রমিক সংকটের আশংকা সবচেয়ে বেশী। এমনিতেই খাতটি বিগত মাসগুলোতে স্টাফ সংগ্রহের ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছে। তৃতীয় লকডাউন শিথিলের পর থেকে এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে আতিথেয়তা খাতে।
ওয়েদারস্পুন-এর মালিক এবং ব্রেক্সিটের ঘোর সমর্থক টিম মার্টিন যুক্তরাজ্যে কাজের জন্য বিদেশী নাগরিকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে একটি ‘যৌক্তিক উদার ধরণের’ ভিসা কর্মসূচী চালুর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও সিংগাপুর এধরনের পদক্ষেপের ফলে কয়েক যুগ ধরে লাভবান হচ্ছে। গনতন্ত্রের সাথে অভিবাসনের সমন্বয় কার্যকর।
ইনডীড-এর প্রতিবেদনে এ বিষয়েও আলোকপাত করা হয় যে, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে উচ্চ মজুরীর চাকুরী অনুসন্ধানে ইউরোপীয়দের আগ্রহে ভাটা পড়েছে। তবে গবেষনায় দেখা গেছে, অ-ইউরোপীয়দের আগ্রহ হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি এই অনাগ্রহের পেছনে বিশেষভাবে দায়ী।
ইউকে ইকোনোমিস্ট-এর জ্যাক কেনেডি বলেন, বিদেশী স্টাফ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ নিয়োগদাতাদের সামনে দু’টি বিশেষ চিত্র প্রতিভাত হচ্ছে। প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের মতো খাতসমূহে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংগ্রহে তেমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না। তবে স্বল্প মজুরীর ইন্ডাষ্ট্রিগুলো শ্রমিকের চাহিদা পূরনে সমস্যায় আছে।
মি: কেনেডি বলেন, এর মানে হচ্ছে, শূন্যতাপূরণে অভ্যন্তরীন শ্রমিকের প্রয়োজন হতে পারে। যা-ই হোক, আতিথেয়তাসহ অনেক খাত তাদের চাহিদামতো শ্রমিক পেতে হিমশিম খাচ্ছে। এসব শূণ্যতা পূরনের জন্য শ্রমিকদের উচ্চ মজুরী দিয়ে আকৃষ্ট করতে হবে।