৪০০ কোটি ডলার সাহায্য প্রত্যাহার ব্রিটেনের
বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় থেকে ৪০০ কোটি ডলার প্রত্যাহার করেছে ব্রিটেন। এই সিদ্ধান্ত লাখ লাখ মানুষকে ‘অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগে’ (এনটিডি) মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। বরিস জনসন সরকার জাতীয় আয়ের ০ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় করে বৈদেশিক সহায়তা দেয়ার গ্যারান্টি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও বিষয়টি তাদের আইনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং এটি একটি সংরক্ষণশীল ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ছিল। করোনভাইরাস মহামারীর কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় বরিস জনসনের প্রশাসন এটি কেটে ০ দশমিক ৫ শতাংশ করে ফেলেছে। এর পরে ডাব্লিউএইচও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কমিটির কাছে চিঠি দিয়ে বলেছে যে, এনটিডির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত কয়েক মিলিয়ন ওষুধ এই সিদ্ধান্তের কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্য এর আগে এনটিডি রোগের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কার্যক্রম (এএসসিইএনডি) প্রোগ্রামে অর্থায়ন করছিল। এ বিষয়ে ডাব্লিউএইচও বলেছে, ‘এনটিডি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য দান করা ওষুধ বৃহৎ আকারে বিতরণ যুক্তরাজ্যের এই সহায়তার উপরে নির্ভরশীল ছিল। তারা তহবিল প্রত্যাহারের ফলে সম্ভবত ব্রিটিশ এবং আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির দ্বারা প্রদত্ত প্রায় ২৮ কোটি ট্যাবলেট বিতরণ করার পরিবর্তে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এবং সম্ভবত সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।’
ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, ‘তহবিলের শূন্যস্থান পূরণের জন্য অর্থের কোনও সুস্পষ্ট বিকল্প উৎস বিদ্যমান নেই।’ এ বিষয়ে সাবেক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সচিব অ্যান্ড্রু মিচেল বলেন যে, ‘ব্রিটেনের সুনামের জন্য এটি একটি খারাপ সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে বিশ্বকে একত্রিত করা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সহ প্রবীণ কনজারভেটিভ সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিলেও প্রধানমন্ত্রী জনসন তার বৈদেশিক সহায়তা পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনাকে ‘বামপন্থী প্রচারণা’ বলে দাবি করেছেন।