যুক্তরাজ্যের ৯ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের ঐতিহাসিক বানিজ্য চুক্তি
যুক্তরাজ্য ‘কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশীপ’ (সিপিটিপিপি)- এর ৯ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের ঐতিহাসিক বানিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলীয় বানিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বানিজ্যমন্ত্রী লিজ ট্রাস চলতি সপ্তাহে সিপিটিপিপি- এর ৯ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যকে লাভের ক্ষেত্রে তার অষ্ট্রেলীয় চুক্তির প্রশংসা করেছেন। কানাডা ও জাপানসহ ১১ টি দেশ সিপিটিপিপি’র অংশীদার।
লিজ ট্রাস বলেন, ব্রিটেনের ইউরোপ-কেন্দ্রিক ধ্যান ধারনার বাইরে গিয়ে অবশিষ্ট বিশ্বের প্রতি মনোযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে এটা প্রথম পদক্ষেপের একটি অংশ। মন্ত্রীর প্রত্যাশা, আগামী দশকে সিপিটিপিপিভুক্ত দেশগুলোর সাথে ব্রিটেনের বানিজ্য ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, অষ্ট্রেলিয়া চুক্তি ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশীপে যোগদানের জন্য পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে, যা আমাদের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও দ্রুততম সম্প্রসারণশীল মার্কেটসমূহের অনেকগুলোতে পৌঁছতে সহায়তা করবে। এশিয়া-প্যাসিফিক হচ্ছে এমন একটি জায়গা, যেখানে বৈশ্বিক ব্রিটেনের জন্য সমৃদ্ধতম সুযোগ বিদ্যমান।
অবশ্য কৃষক ও ইইউ এর সাবেক অবশিষ্ট সমর্থকগনের পক্ষে লবিয়িং গ্রুপ চলতি সপ্তাহে অষ্ট্রেলিয়া বানিজ্য চুক্তির বিরোধিতার চেষ্টা চালায়। মিসেস ট্রাসের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, যে সব লোক ব্রেক্সিটকে ‘আঞ্চলিক ও অন্তর্মুখি দৃষ্টিভঙ্গী’ বলে সমালোচনা করেছিলো, তারাই এখন বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহন করায় এর সমালোচনা করছেন। সূত্রসমূহের বক্তব্য হচ্ছে, আমরা কোন আলোচনার পূর্বে, পরে ও সময়ে ব্যাপক যোগাযোগ ও আলোচনা করে থাকি। সিপিটিপিপি চুক্তি শ্রমিকদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করবে এবং ব্রিটেনের ক্ষতি করবে, এমন ধারনা বোকামী। সিপিটিপিপিভুক্ত ১১ টি দেশের মধ্যে রয়েছে, পুরোনো মিত্র কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়া, শক্তিশালী অর্থনীতি জাপান এবং দ্রুত বর্ধমান এশীয় অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম।