ব্রিটেনে বাড়ি থেকে কাজ করার আইন নিয়ে তোলপাড়
যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ব্যবসায়ী লবিয়িং গ্রুপের প্রধানরা ও দু’টি বড়ো নগরীর নিয়োগদাতারা শ্রমিকদেরকে দূরবর্তী স্থানে বসে কাজের দাবির আইনী অধিকার প্রদানের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এতে তরুণ কর্মচারীরা ও সিটি সেন্টার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সিবিআই-এর প্রেসিডেন্ড লর্ড বিলিমরিয়া বলেন, যখন কর্মচারীরা বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য আবেদন জানাতে সক্ষম হবে, তখন নমনীয় কর্ম ব্যবস্থাপনাসমূহকে তাদের নিজস্ব পথে পরিবর্তিত হতে দিতে হবে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে, তা হচ্ছে লোকজনকে বাড়িঘর থেকে কাজের অধিকার নিয়ে কোন আইন পাস করা। এজন্য তাদের অনুরোধ জানানোর অধিকার আছে। কিন্তু প্রত্যেক নিয়োগদাতাকে বাড়ি ও অফিস থেকে কাজের মিশ্রনের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
ডাউনিং স্ট্রিট গত সপ্তাহে এই মর্মে নিশ্চিত করে যে, সরকার কর্মচারীদের ‘ডিফল্ট’ অপশন হিসেবে বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য অনুরোধ জ্ঞাপনের বিষয়ে আইন প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছে। সিবিআই প্রধান বলেন, দূর থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে নতুন সংগৃহীত লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেয়া মুশকিল হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে গোল্ডম্যান সাচস্ এবং মর্গান স্ট্যানলীসহ প্রধান ব্যাংকগুলো। তিনি আরো বলেন, স্টাফরা সিটি সেন্টারসমূহে ফিরে না এলে ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলো সমস্যায় পড়বে।
বিলিমোর বলেন, অফিসে কাজের অনেক উপকার রয়েছে, বিশেষভাবে তরুণ ও নতুন চাকুরীতে আসা ব্যক্তিদের জন্য। পর্যবেক্ষন থেকে যেমন শেখা যায়, তেমনটি উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার জন্যেও অফিসে আসা প্রয়োজন। যখন একজন একটি প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে মুখোমুখি বসে কাজ করবে, তখন অন্যদের কথা বাদ দিলেও সে নিজে অফিসের পরিবেশ থেকে উপকৃত হবে। রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসাও একটি অফিস অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল।
ডয়েচ ব্যাংক ইউকে- এর চীফ এক্সিকিউটিভ টিনালী বলেন, গ্রাডস ও ইন্টার্নদের উচিত যতো বেশী সময় সম্ভব অফিসে কাটানো, যখন তারা তাদের পেশা আরম্ভ করবে, যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয়।