যুক্তরাজ্যে অসহায় এসাইলাম প্রার্থীরা গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে
কভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অসহায় আশ্রয়প্রার্থীদের অবশ্যই বাসস্থান দিতে হবে- আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এমন একটি রুলিং বাতিল করেছেন হাইকোর্টের জনৈক বিচারক। ফলে কমপক্ষে ১ হাজার আশ্রয়প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাদের এখন রাস্তায় নামার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে এসাইলাম সাপোর্ট ট্রাইব্যুনাল এই মর্মে একটি রুলিং প্রদান করে যে, কভিড ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে অসহায় প্রত্যাখ্যাত এসাইলাম প্রার্থীদের রাস্তায় ঠেলে দেয়া যাবে না কিংবা ‘সোফা সাফিং’-য়ে বাধ্য করা যাবে না। রোড ম্যাপের চতুর্থ ধাপ বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এই আশ্রয়প্রার্থী গোষ্ঠীকে বাসস্থান প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য হোম অফিসকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। একটি অস্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে হোম অফিস হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় এবং আদালতের সিদ্ধান্তের বিচার বিভাগীয় পুনর্বিবেচনা প্রার্থনা করে।
মিঃ বিচারপতি চ্যাম্বারলেইন অনুমতি প্রদান করেন এবং ঐ অসহায় গোষ্ঠীর সুরক্ষার সিদ্ধান্তটি বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, তাদেরকে বাসস্থান প্রদান না করায় হোম অফিস কর্তৃক মানবাধিকার লংঘিত হবে না। তবে যেহেতু বিচারক পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি পুনরায় ইমিগ্রেশন ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠাচ্ছেন, তাই ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের উচ্ছেদ শুরু করতে এখনি সক্ষম হবে না হোম অফিস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল কর্তৃক আনীত মামলাটিতে সফল হওয়া সত্বেও বিচারক কিছু উপাদানের সমালোচনা করেন।
ইতোপূর্বে এসাইলাম প্রার্থীদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালের আদেশ লাভকারী ‘ডেইটস পিয়ার্স গ্লিন সলিসিটর্স এর সাশা রোজানস্কি মহামারির সময় গৃহহীন অভিবাসীদের গণস্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তার কৃত মূল্যায়ণের সমর্থনে সকল প্রমাণ প্রকাশের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, বিশেষভাবে সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়সমূহ এবং প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত তার মূল্যায়নের সমর্থনে প্রমাণ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রাপ্ত পরামর্শসমূহও উপস্থাপনের আহবান জানান।