ব্রিটিশ পর্যটন ও রেস্তোরাঁ খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি
পর্যটন খাত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার ফলে ধীরে ধীরে গতি ফিরে পাচ্ছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। চলতি বছরের মে মাসে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে দৃঢ় পুনরুদ্ধারের চিত্র দেখা গেছে। তবে কভিড-১৯ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দেশটির আপ্যায়ন পরিষেবা খাত। এখনো উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন ও রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি না পাওয়ায় এ খাতে শঙ্কা রয়েই গেছে।
যুক্তরাজ্যের লয়েডস ব্যাংকের রিকোভারি ট্র্যাকারের বরাতে জানা গেছে, কভিড-পরবর্তী সময়ে মে মাসে প্রতি ১৪টি খাতের ১১টি খাত দ্রুতগতিতে তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে। যেখানে এপ্রিলে প্রতি ১৪টি খাতের নয়টি খাতে এ রকম প্রবৃদ্ধির হার দেখা গিয়েছিল। লকডাউন শিথিল করার পর খাতগুলো পুনরায় গতি ফিরে পাচ্ছে।
লয়েডস ব্যাংকের ট্র্যাকারে দেখা যায়, গ্রাহকদের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ব্রিটেনের হোটেল, পাব ও রেস্তোরাঁগুলোর মতো দেশটির পর্যটন খাত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো মে মাসে তাদের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে। গ্রাহকদের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এ খাত-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নতুন কর্মীও নিয়োগ দিচ্ছে। ১৪টি খাতের সামগ্রিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মে মাসে খাতগুলোয় নতুন কর্মসংস্থানের পরিমাণও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারির পর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় কর্মী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
লয়েডস ব্যাংকের ইকোনমিকস অ্যান্ড মার্কেট ইনসাইট ফর কমার্শিয়াল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান জেভন লোলে জানান, এসব খাত করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বিধিনিষেধের দ্বারা আক্রান্ত এসব খাত বর্তমানে গতি ফিরে পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো লকাডাউনের সময় স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত অনেক খাতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য আরো চার সপ্তাহের বিলম্ব এ খাতগুলোর ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখনো অস্পষ্ট। যদিও এ বিলম্ব অনেক ব্যবসার জন্য হতাশাজনক। তবে অর্থনীতি আগের তুলনায় আরো ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে, এটি অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই।
সম্প্রতি নিজেদের ব্যবসা আরো সম্প্রসারণ করার ঘোষণা দেয় ফাস্টফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ড’স। আগামী এক বছরে ২০ হাজার কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিজেদের ৫০টি নতুন রেস্টুরেন্ট খোলার কারণে তাদের এ পরিমাণ কর্মীর প্রয়োজন হবে। এমন পরিস্থিতিতেও আপ্যায়ন পরিষেবা খাতগুলো এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যরাতকেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসা খাত বেশি ঝুঁকি বহন করছে। মে মাসের শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনে প্রায় ২৫ হাজার অনুমোদিত ব্যবসাকেন্দ্র বন্ধ ছিল।