সোমবার থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ
বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ১৭২ জনে। অোজ রবিবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেখানে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ২৬৮ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জনে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল দেশে করোনায় দ্বিতীয় সর্বাধিক ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৫ জুন মারা যান ১০৮ জন। এছাড়া ১৮ এপ্রিল ১০২ জন মারা যান। ১৬, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল মারা যান ১০১ জন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৬২৮ নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৩ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১১৯ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৫৯ জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও মহিলা ৪৪ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ৪ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১১৯ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩২ জন, ঢাকায় ২৪, রাজশাহীতে ২২, সিলেট ৫, রংপুরে ৯ জন করে, ময়মনসিংহে ৩ জন ও বরিশালে ২ জন মারা গেছেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
কাল থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ: সব সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রেখে আগামীকাল সোমবার (২৮ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। এই সময়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা চলাচল করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। সেই সঙ্গে সকল শপিংমল, মার্কেট, রিসোর্ট, পর্যটনকেন্দ্র ও কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবারের দোকান খোলা থাকলেও কেউ বসে খেতে পারবে না। শুধু পার্সেল দিতে পারবে।