লন্ডনে বাড়ির গড়মূল্য প্রথম বারের মতো ৫ লাখ পাউন্ড ছাড়িয়েছে
লন্ডনে বাড়ির গড়মূল্য এই প্রথম বারের মতো ৫ লাখ পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের ৭ শতাংশেরও বেশী বৃদ্ধির পর এটা ঘটেছে। ‘ন্যাশনওয়াইড’ নামক ঋণদাতা সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দেশের অন্যান্য স্থানে স্থবিরতা সত্বেও রাজধানীর প্রোপার্টি মার্কেটের মহামারীকালীন ‘মিনি বুম’ অর্থাৎ চাঙ্গাভাবে গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বাড়িঘরের মূল্য বার্ষিক ৭.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়, যা প্রথম ত্রৈমাসিকে ছিলো ৪.৮ শতাংশ। ৩ মাসে গড়মূল্য ২৭৩৫৯ পাউন্ড বৃদ্ধি পায়, যা আসলে ৪৮২৫৭৬ পাউন্ড থেকে ৫০৯৯৩৫ পাউন্ড।
১৯৭৩ সালে ন্যাশনওয়াইড কর্তৃক আঞ্চলিক পরিসংখ্যান সংগ্রহের পর থেকে এটাই প্রথম যে, লন্ডনে একটি বাড়ির গড়মূল্য ৫ লাখ পাউন্ড অতিক্রম করেছে। এটা ঐ বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ১২৮৪৮ পাউন্ড রেকর্ডের পর প্রায় ৪০ গুণ বৃদ্ধি। ২০০৪ সাল থেকে দেশব্যাপী বাড়ির মূল্য ২০০৪ সালের যে কোন সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বছরের জুন মাসে যা দাঁড়ায় ১৩.৪ শতাংশ অর্থাৎ ২৪৫৪৩২ পাউন্ড। স্টাম্প ডিউটি মওকুফের সুবিধা শেষ হয়ে যাচ্ছে ৩০ জুন থেকে, যদিও এটা আগামী অক্টোবরের আগে সম্পূর্ণ বন্ধ হবে না।
ন্যাশনওয়াইড-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট গার্ডনার বলেন, অর্থানীতি উন্মুক্ত থাকায় নিকট অতীতেও বিদ্যমান চাহিদা স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঋনের ব্যয় কম থাকায় গ্রাহকদের আস্থা ফিরে এসেছে। এটা মার্কেটে সরবরাহের সাথে সমন্বিতভাবে আরো মূল্য বৃদ্ধির ইংগিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষে স্টাম্প ডিউটি মওকুফের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কর্মকান্ড একটি সময়ের জন প্রায় অনিবার্যভাবে নমনীয় হয়ে পড়বে। লন্ডন এস্টেট এজেন্টস-এর লুসি পেন্ডলটন বলেন, দাম যথেষ্ট বেশী থাকা সত্বেও চলতি ত্রৈমাসিকে লন্ডনে প্রবৃদ্ধিতে উল্লম্ফন লক্ষ্য করা গেছে। গ্রাহকের আস্থা থাকায় রাজধানী স্টাম্প ডিউটি মওকুফ প্রত্যাহারকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। অনেকের বিশ্বাস, কভিড বিধি নিষেধ শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।