৭০ বছর পর খুলে দেয়া হলো লন্ডনের গোপন ট্রাম স্টেশন
লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কিংসওয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রাম স্টেশন জনগণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৭০ বছর পর এই প্রথম স্টেশনটি খুলে দেয়া হয়েছে। জনগণ এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মসমূহ ও হলগুলো ঘুরে ফিরে দেখতে পারবেন। এভাবে দোতলা ট্রামের যাত্রীরা এক সময়ের নিবিড় নেটওয়ার্ক টেমস নদীর উত্তর ও দক্ষিণে মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটা বন্ধ করে দেয়া হয়। লন্ডনের অনেক বাসিন্দা এই স্টেশনটি রহস্যমণ্ডিত বলে মনে করেন। ১৯৯৮ সালে উমা থুরম্যান ও র্যালফ ফিয়োনিস অভিনীত বিখ্যাত অ্যাভেঞ্জার্স ছায়াছবির হেডকোয়ার্টার হিসেবে চিত্রায়িত হয়েছে এই স্টেশন। তবে অনেকেই জানেন না যে, লন্ডনের বৈদ্যুতিক ট্রাম নেটওয়ার্কের ভরকেন্দ্র ছিলো এটা। যুদ্ধের পরে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের টিউবের ও পারদর্শিতা এটাকে ছাড়িয়ে যায়। লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিল এই ট্রাম স্টেশনটি নির্মাণ করে এবং হলবর্ণ ও এল্ডউইচ এলাকার বস্তি পরিষ্কারের অংশ হিসেবে ১৯০৬ সালে এটা চালু করা হয়।
লন্ডন ট্রান্সপোর্ট মিউজিয়াম-এর ম্যানেজার সিদ্দি হলোওয়ে বলেন,অতীত গরিমার লাবণ্যের ছিটে ফোঁটা এখনো ছড়িয়ে আছে এখানে। ১৯৫২ সালে এটা বন্ধ হয়ে যায় এবং এরপর জনগণ আর কখনো তা দেখতে পায়নি।লন্ডন ট্রান্সপোর্ট মিউজিয়াম এই স্টেশনে ট্যুরের আয়োজন করছে।
সিদ্দি হলওয়ে আরও বলেন, বিশ ও ত্রিশের দশকে ট্রাম নেটওয়ার্ক টিউবের তুলনায় ধীরগতিসম্পন্ন, খুঁড়িয়ে চলা ও অনারামদায়ক যান হিসেবে যাত্রীদের কাছে দুর্নাম কুড়োয়। পরে সমালোচনার মুখে ট্রামকে অধিকতর আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে সেলুন কার সংযোজন করা হয়। তবে এগুলো ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
গত ৬৯ বছর ধরে এক সময়ের অত্যাধুনিক ভূগর্ভস্থ ট্রাম ইন্টারচেঞ্জকে সড়ক সুরঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি প্লাটফর্মগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে ক্যামডেন কাউন্সিলের পুরনো সড়ক সাইনবোর্ড ও উদ্বৃত্ত বিন রাখার জায়গা হিসেবে।