করোনায় ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন‘র বিজ্ঞাপনের আয় কমেছে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড
করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিধি নিষেধের ফলে যাত্রীরা কর্মস্থলে না যাওয়ায় ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন অর্থাৎ লন্ডনের পরিবহন ব্যবস্থা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। টিউবে স্টেশন, ট্রেন ও বাস নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আয় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের এডভার্টাইজিং এস্টেট লক্ষাধিক বিলবোর্ড, পোস্টার ও প্যানেল নিয়ে গঠিত যেগুলো রাজধানী লন্ডনের রেল নেটওয়ার্ক, ট্রেন, বাস এবং সেন্টারসমূহে ছড়িয়ে আছে।
করোনা মহামারি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নগরীর যাতায়াতের রাস্তাসমূহে রেকর্ড পরিমাণ বিজ্ঞাপন দাতা তিরোহিত হয়েছে। এতে গত মার্চের শেষ ভাগ পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অর্থাৎ ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বাণিজ্যিক আয় কমে গেছে। অপরদিকে ২০১৯ সালে বিজ্ঞাপন বাবদ বার্ষিক রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি ১৫৮.৩ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছিলো।
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন-এর কাস্টমার এন্ড রেভিনিউ ডিরেক্টর ক্রিস ম্যাকলিয়ড বলেন, এটা বিরুদ্ধ মার্কেটিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত। আবশ্যকীয় ভাবেই আমরা একটি কমার্শিয়াল প্যাকেজ হিসেবে অক্ষিগোলক বিক্রি করে থাকি এবং যখন আমরা লোকজনকে সরকারি নির্দেশনাবলী অনুসরণে উৎসাহিত করি এবং ভ্রমণ করতে বলি, তখন অবশ্যই আমরা আহত হই। টিউবের যাত্রী সংখ্যা ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বাণিজ্যিক রাজস্ব আয়ে পতন ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন অর্থাৎ টিএফএল-এর জন্য ভালো খবর নয়, যা সরকার থেকে গত মাসে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ তহবিল বরাদ্দ পেয়েছে, এই তৃতীয়বারের মতো এর অর্থ আবশ্যক হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে মোট ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের অর্থায়ন হয়েছে টিএফএল-এ।
টিএফএল জানিয়েছে, চলতি বছর এখনো এর ৯০০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘাটতি রয়েছে। গত বছর এই নেটওয়ার্কে ১ হাজার ৪শ‘৪৮টি সরকারি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিজ্ঞাপনী প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি ১ হাজার ২শ ৭টি খুচরো এবং ১ হাজার ২৯টি বিনোদন ও অবকাশ বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। অবশ্য টিএফএল জাংক ফুডে‘র পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করে এগুলোতে উচ্চমাত্রার ফ্যাট, লবণ ও চিনি থাকার কারণে।