তীব্র শ্রমিক সংকটে যুক্তরাজ্যের নিয়োগদাতারা
ব্রিটেনে নিয়োগদাতারা শ্রমিক-কর্মীর অভাবে কর্মস্থলে সমস্যায় আছেন। নব্বইয়ের দশক থেকে এ সমস্যার শুরু। লকডাউন শেষে আবার সবকিছু খুলে দেয়ার পর এ সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোভিড ও ব্রেক্সিটের দরুন লেবার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রিক্রুটমেন্ট এন্ড এম্প্লয়মেন্ট কনফেডারেশন এবং একাউন্ট্যান্সি ফার্ম কেপিএমজি তীব্র শ্রমিক সংকটের দরুন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলো, জুন মাসে, ১৯৯৭ সালের পর সবচেয়ে দ্রুতগতিতে শ্রমিক স্বল্পতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
রিক্রুটমেন্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে শ্রমিক ভাড়াকরণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বলে জানায় তারা। সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে ট্রান্সপোর্ট এন্ড লজিস্টিকস, আতিথেয়তা, উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে। এছাড়া শেফ, কিচেন পোর্টার, ক্লিনার এবং গুদামের স্টাফ সংগ্রহে বিগত মাসসমূহে রেকর্ড পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
কেপিএমজি ইউকে-এর এডুকেশন স্কিলস ও প্রোডাক্টিভিটি-এর প্রধান ক্লেয়ার ওয়ার্নেস বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ধীরগতির আশঙ্কায় আমরা লোকবলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দক্ষতার শূন্যতার প্রেক্ষাপটে ফারলোকৃত ও সম্ভাব্য শ্রমিকদের পুনঃদক্ষকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ ও সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।
করোনা মহামারির বিধি নিষেধ শিথিলের পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে, তা সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কোভিড-১৯-এর জন্য সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং ব্রেক্সিট পরবর্তী অভিবাসন নীতিমালার কারণে ব্রিটেনে শ্রমিক আগমনে জটিলতা বৃদ্ধি করেছে। আরইসি এবং কেপিএমজি‘র সমীক্ষা অনুসারে, গত জুনে ৪শ‘টিরও বেশী রেক্রুটমেন্ট প্রতিষ্ঠান চাকুরী প্রার্থী প্রাপ্তিতে নজিরবিহীন সংকটে পড়েছে। হায়ারিং অর্থ্যাৎ ভাড়া করার ক্ষেত্রে উচ্চ চাহিদার কারণে। হায়ারিং বৃদ্ধি, ব্রেক্সিট, মহামারি জনিত অনিশ্চিয়তা এবং ফারলো স্কীম, চাকুরী প্রার্থীদের সংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে বিদ্যমান।
অফিশিয়াল পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক এখনো ফারলোর অধীনে রয়েছে। মহামারির বিধি নিষেধের দরুন শ্রমিকদের কাজকর্মে পূর্ণ সংখ্যায় ফিরে যাওয়ার বিষয়টি এখনও সীমিত রয়েছে।