আওয়ামীলীগ এর লোকজন অতিথি না হলে আমি আসবোনা : কন্সাল জেনারেল তৌহিদ
গত কিছু দিন আগে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ইউরোবিডিনিউজঅনলাইন ডট কম এর শুভ সূচনা হয়। পত্রিকাটির সূচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় মিলান বাসীর অনুরোধে ইতালির বাণিজ্যিক শহর মিলানোতে। পুরো বাংলা সংস্কৃতির চর্চা নির্ভর অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানটিতে তথাকথিত রাজনৈতিক বিতর্ক মুক্ত রাখার জন্য ও মিলানোতে বাংলাদেশিদের একসাথে একত্রিত করে দল মত নির্বিশেষে একটি সুন্দর আনন্দময় অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার চেষ্টা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি করা হয়েছিলো বাংলাদেশের সরকারের নিযুক্ত হাইকমিশনের মিলানের প্রতিনিধি (কন্সাল জেনারেল) মোঃ তৌহিদুল ইসলামকে। উনি পত্রিকার সিনিয়র সহযোগী সম্পাদিকা ও মিলানের বাংলাদেশীদের প্রিয়মুখ সেলিনা আক্তার এর দাওয়াত সানন্দে গ্রহন করেছিলেন। ৩ দিন আগে কন্সাল জেনারেল কে প্রধান অতিথি করে অন্যান্য দাওয়াতপত্র বিলি করা হয় মিলানোর সর্বস্তরের প্রবাসিদেরকে। মিলানোর সকল রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের দাওয়াত দেয়া হয় যথা সময়ে। বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহন করেছিলেন পত্রিকার সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর, তার সভাপতিত্তে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার কথা দিয়েই অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটি সব প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন। অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার আয়োজন শেষ করে, অপেক্ষার পালা প্রধান অতিথির।কিন্তু উনার আসার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলোনা। ঘড়ির কাঁটা তখন ৬ টা পেরিয়ে ৭ টার ঘরে । উপস্থিত একজন তো মন্তব্য করে বসলেন হয়তো বাংলাদেশের হাওয়া যায়নি উনার,( বাংলাদেশে যেমন অনুষ্ঠান এর টাইম থাকে ৬ টায় শুরু হয় কয়েক ঘণ্টা পর ) ওটা ভেবেই হয়তো দেরি করছে। ওমনিতেই ওপাশ থেকে ফোন বেজে উঠলো সম্পাদিকার ফোনে। সম্পাদিকার চেহারা মুহূর্তেই উচ্ছল হাসি থেকে মেঘের মতো কালো হয়ে গেলো। জিজ্ঞাসা করতেই বললেন উনি আওয়ামীলীগ এর অতিথি ছাড়া আসবেন না । উপস্থিত সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলেন সম্পাদিকার দিকে। সম্পাদিকার প্রশ্নের উত্তরে উনি আরো বলেন ওনার হঠাৎ পেট খারাপ হয়ে গেছে। সম্পাদিকা বলতে লাগলেন যে লোক একটু আগে বললেন এক্ষুনি আসছেন, কিছুক্ষন পর সেই লোক বলছেন পেট খারাপ। সম্পাদকের হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠান অন্যভাবে সাজিয়ে আরো সুন্দর ভাবে শেষ হয়। মিলান বাংলাদেশী প্রবাসিরা দেশের গান দিয়ে শুরু করে অবাক বিস্ময় নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এই প্রতিবেদকের মনে প্রশ্ন জেগেছিলো আমরা কি দলীয় করণের উর্ধে কখনোই যেতে পারবোনা? প্রতিটা অনুষ্ঠানকেই কি দলীয়করণ করার প্রয়োজন আছে? আমাদেরকে যারা সরকারী পৃষ্টপোষকতা করেন তারা কি কেবল সরকার দলীয় অনুষ্ঠানেই যাওয়ার জন্য হাইকমিশনে আসেন? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও জানা যায়নি। অনুষ্ঠানের আগত অতিথিদের বিব্রত করার অধিকার ওনার নেই। উনি যদি না আসতে পারেন তা অন্তত ২ ঘণ্টা আগে বললেও সবার মনে প্রশ্ন জাগতো না। উনি বিহীন অনুষ্ঠান অনেক সুন্দর ভাবেই শেষ হয়েছিলো। কিন্তু উনার এহেন আচরণ সবার মনে এখনো দাগ কেটে দেয়, আওয়ামীলীগ এর লোকজন অতিথি না হলে আমি আসবোনা।