‘বরিস জনসনের ওপর আস্থার ঘাটতি রয়েছে উত্তর আয়ারল্যান্ডের’
ব্রিটিশ লেবার নেতা কেইর স্টার্মার বলেছেন, বরিস জনসনের সরকারের ওপর উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। অঞ্চলটিতে সফরকালে লেবার নেতা বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তির পরিণতি গুলো ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী উত্তর আয়ারল্যান্ডের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। মিস্টার স্টার্মার বলেন, আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা একজন সৎ ব্রোকার বা মধ্যস্থতাকারীর মতো হওয়া উচিত।
জন মেজর, টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের তা-ই ছিলো। কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রী সেই ভূমিকা ত্যাগ করেছেন এবং আমি মনে করি, অনেকেই এর ফলে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার বলে অনুভব করছেন। প্রটোকল ইইউ বাস্তবায়নে পরিবর্তনসমূহ গ্রহণ না করলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রতি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মন্ত্রীরা।
লন্ডন ব্রাসেলসকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, পরিবর্তনসমূহ গ্রহণে সম্মত না হলে লন্ডন দুই সপ্তাহের মধ্যে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট বলেন, ২২ জুলাইয়ের পূর্বে সরকার কমন্সে তার নতুন পদক্ষেপের বিষয়টি উপস্থাপন করবে।
ইতিমধ্যে ইইউ ত্যাগের ব্যয় যুক্তরাজ্যের ধারণার চেয়ে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্রাসেলস-এ রক্ষিত ২০২০ সালের বাজেট একাউন্টের এক পরিসংখ্যানে এটা দেখা গেছে।
ব্রিটিশ কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন,৩৫ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে।কিন্তু নতুন হিসেবে মোট দাঁড়িয়েছে ৪৭.৫ বিলিয়ন ইউরো অর্থ্যাৎ প্রায় ৪১ বিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এই পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক করছে, তারা এটা মেনে নেয়নি।