এনএইচএস’র অপেক্ষমাণ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছতে পারে
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইংল্যান্ডে এনএইচএস-এর অপেক্ষমান রোগীর তালিকা আগামী মাসগুলোতে দ্বিগুণ হতে পারে। বর্তমানে রুটিন অপারেশন ও প্রসিডিওরের জন্য অপেক্ষমান লোকজনের সংখ্যা ৫৩ লাখ। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাজিদ জাবিদ বলেন যে, কর্মকর্তারা তাকে এই বলে হুঁশিয়ারি করে দেন যে, অপেক্ষমান রোগীদের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছতে পারে। তবে তিনি আরো বলেন যে, ১৯ জুলাই অবশিষ্ট অধিকাংশ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
সদ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহনকারী জনাব জাভিদ বলেন, আমাকে সবচেয়ে বেশি মর্মাহত করেছে যখন আমাকে বলা হয়েছে যে, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার আগে অপেক্ষমানের তালিকা অনেক খারাপ হতে চলেছে। এ সংখ্যা আজ ৩৫ লাখ থেকে ৫৩ লাখে উন্নীত হয়েছে। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি, আপনারা ‘অনেক খারাপ হওয়া‘ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, ভাবলাম হয়তো এ সংখ্যা ৫৩ লাখ থেকে ৬০ লাখ কিংবা ৭০ লাখে বৃদ্ধি পেতে পারে। তারা বললেন, না, এটা বহু লাখ এমনকি ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছতে পারে।
জনাব জাভিদ বলেন, সমাধানের পন্থাগুলো মধ্যে রয়েছে এনএইচএস-এর রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের অর্থ প্রদান এবং ভার্চুয়াল চিকিৎসকদের নিয়োগ অব্যাহত রাখা। বিবিসি‘র জনৈক বিশ্লেষক মে মাসে লক্ষ্য করেন যে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছে।
গত মার্চে, প্রায় ৫০ লাখ রোগী সার্জারির জন্য অপেক্ষমান ছিলেন। আধুনিক রেকর্ড চালুর পর থেকে এটা সর্বোচ্চ। গত শনিবারে চতুর্থ দিনের মতো কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। জনাব জাভিদ এর আগে এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন যে, করোনা সংক্রমণ দৈনিক ১ লাখে পৌঁছতে পারে যদি ১৯ জুলাইয়ের আগে তুলে দেয়া হয়।
যদি তা ঘটে তবে হাসপাতালে ভর্তির, সংখ্যা দৈনিক ২৫০০-তে পৌঁছতে পারে। পরিসংখ্যান বিষয়ক অধ্যাপক স্যার ডেভিড স্পাইগেলহল্টার এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অবিশ্যম্ভাবী যে, যুক্তরাজ্য শীঘ্রই করোনা সংক্রমনের একটি বড়ো ধরনের ঢেউয়ের সম্মুখীন হবে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পরিসংখ্যান অত্যন্ত উঁচু, তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শীর্ষাবস্থার চেয়ে নিচে আছে।