১৮০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্রিপ্টোকারেন্সী আটক করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ রেকর্ড পরিমাণ ১৮০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্রিপ্টোকারেন্সী জব্দ করেছে। লন্ডনে আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো এই ক্রিপ্টোকারেন্সী। এই বৃহত্তম জব্দের ঘটনা যুক্তরাজ্যে এ ধরনের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ জুন লন্ডন পুলিশ ১১৪ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্রিপ্টোকারেন্সি আটক করে। ২৪ জুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩৯ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে সে জামিনে আছে।
অপরাধমূলক সম্পদ হস্তান্তরের বিষয়ে গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন পুলিশের ইকোনমিক ক্রাইম কমান্ড এই অর্থ জব্দ করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে আরো বহু অজ্ঞাতনামা প্রেরক ও গ্রাহকের কাছে যে লেনদেন হচ্ছে, এতে কোন সন্দেহ নেই।অবশ্য মেট পুলিশ কোন ক্রিপ্টোকারেন্সী আটক করেছে তা বলেনি।
জানা গেছে, লকডাউনের সময় সকল ক্রিপ্টোকারেন্সীর মোট মূল্য প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে ১.৭ ট্রিলিয়ন পাউন্ডে বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাজ্যের আর্থিক ওয়াচডগ-এর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ লোকের কাছে এসব ডিজিটাল কারেন্সি বা মুদ্রা রয়েছে। কিন্তু মে‘র শুরু থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সীর মার্কেট সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে এবং মাত্র কয়েক মাস আগে ১ ট্রিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী হ্রাস পায়।
উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সী হচ্ছে ডিজিটাল মানি,যা কোন ব্যাংক ইস্যু করে না। যে কেউ এই মুদ্রা বিনিয়োগ করতে এবং এগুলো দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন অন্যান্য মুদ্রার মতোই। এগুলোর প্রবেশে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।এ ব্যাপারে বিধি-বিধান না থাকার অর্থ হচ্ছে, এগুলোর মার্কেট অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার গ্রাহাম ম্যাকনাল্টি বলেন, অপরাধের কর্মপদ্ধতি বিভিন্ন পন্থায় বিস্তৃত হচ্ছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত নগদ অর্থ অপরাধ জগতের অধিপতি হিসেবে বিরাজ করবে এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মসমূহ বিকশিত হবে, ততক্ষন আমাদেরকে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোকে ক্রমবর্ধমান হারে তাদের নোংরা অর্থ পাচারের বিষয়টি দেখতে হবে।