যুক্তরাজ্যে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে
যুক্তরাজ্যে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আগামী ১৯ জুলাই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে এমনটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১৬ জানুয়ারীর পর ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ একদিনে আক্রান্তের এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের ৪টি সরকারী স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ বয়স্ক লোক দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টিকাদানে ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভিন্ন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও সরকার লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস বলেন, সিদ্ধান্তটি মন্ত্রীদের প্রত্যাশার সাথে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ। ওয়েলসে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হবে ৭ আগস্ট। তবে গৃহাভ্যন্তরে এবং পাবলিক পরিবহনে মাস্ক পরিধানের নিয়ম নীতি অব্যাহত থাকবে। ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেইকফোর্ড এ তথ্য জানিয়েছেন। নিকোলা স্টার্জিওন স্কটল্যান্ডে একই ধরনের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেছেন।
এক জরীপে ব্রিটেনের দুই-তৃতীয়াংশ বাসিন্দা বলেছেন যে, তারা দোকানপাট এবং গণপরিবহনে মাস্ক পরিধান অব্যহত রাখবেন। এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ না থাকলেও তাঁরা তা করবেন। সরকার আগামী সোমবার আরেক দফা বিধি-নিষেধ শিথিলের পূর্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছিদ্র যুক্ত দুর্বল স্থানগুলো বন্ধ ও ঠিকঠাক করে নেয়ার জন্য বলেছে।
সরকারের নতুন পরামর্শে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন স্থান দুর্বল বা ছিদ্র যুক্ত কি-না, তা মূল্যায়নে একটি সিওটু মনিটর সাহায্য করতে পারে। যদি কেউ কোন স্থানের এসব ছিদ্র বন্ধ করতে না পারেন, তবে এই স্থানটি কম ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে,ঘরের অভ্যন্তরের যে সব স্থান যথেষ্টভাবে ছিদ্র মুক্ত নয়, সেসব স্হান দিয়ে করোনাভাইরাস সঞ্চারিত হতে পারে। লোকজন যখন নিঃশ্বাস ফেলে তখন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। যদি কোন জায়গা কার্বন-ডাই-অক্সাইড পূর্ণ হয়, তবে সেই স্থানের ভেন্টিলেশনের উন্নয়ন আবশ্যক।