‘রেভোলুট‘এখন যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ ফিনটেক প্রতিষ্ঠান
ব্যাংকিং ও অর্থ পরিশোধ বিষয়ক অ্যাপ রেভোলুট সবচেয়ে মূল্যবান ব্রিটিশ ফিনটেক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নতুন বিনিয়োগের পর এর মূল্যমান ৩৩ বিলিয়ন পাউন্ডে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালে সাবেক লেহম্যান ব্রাদার্স -এর ব্যবসায়ী নিক স্ট্রনোস্কি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানী গত বৃহস্পতিবার এই মর্মে ঘোষণা করে যে, তারা নতুন বিনিয়োগকারী টাইগার গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট এবং প্রধান জাপানি বিনিয়োগকারী গ্রুপ সফট ব্যাংকের বিনিয়োগ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করেছে, যারা বর্তমানে প্রায় ৫ শতাংশ স্টেক হোল্ডার।
এর মানে হচ্ছে, লন্ডন সদর দপ্তর ভিত্তিক এই কোম্পানির মূল্য ৩৩ বিলিয়ন ডলার (২৪ মিলিয়ন পাউন্ড,) যা গত বছরের চেয়ে ৬ গুণ বেশী। তখন এর মূল্য ছিলো ৫.৫ বিলিয়ন ডলার। এই সুসংবাদগুলো এসেছে একটি বড়ো দুঃসংবাদের পর। মাসখানেক আগে রেভোলুট জানায় যে, গত বছর তাদের দ্বিগুন অর্থাৎ ২০৭ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হয়েছিলো, যদিও
ক্রিপ্টোকারেন্সীতে ক্যাশ ইন করেছিলো তারা।
২০১৫ সালে এই ব্যাংকিং অ্যাপ মূলত একটি প্রিপেইড কার্ড হিসেবে চালু করা হয়েছিলো, যা গ্রাহকদের বিনামূল্যে মুদ্রা বিনিময় করতো। এরপর কোম্পানিটি আরো ৩৪ টি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে এবং এটা তার অর্থনৈতিক সেবা কর্মসূচিতে বিজনেস একাউন্ট, বিনিয়োগ এবং ওয়েজ এডভান্স সংযোজন করেছে। কোম্পানিটি একটি ইইউ লাইসেন্স ধারণ করে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এটা একই ধরনের অনুমোদনের প্রতীক্ষায় আছে।
রেভোলুট‘র সভাপতি স্ট্যান্ডার্ড লাইফ এবার্ডিন-এর প্রধান মার্টিন গিলবার্ট বলেন, নতুন ফান্ডিং অর্থাৎ অর্থায়ন কোম্পানির মার্কেটিং ব্যয় সংকুলানে এবং নতুন প্রোডাক্টের উন্নয়নে সহায়ক হবে। নিক স্ট্রোনাস্কি বলেন, এধরনের ফান্ডিং রেভোলুটকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে মূল্যবান ফিনটেকে পরিণত করেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রকাশ ঘটেছে।
অবশ্য এর অর্থনৈতিক চীফ মিক্কোরা বলেন, একটি স্টক মার্কেটের উদ্বোধনে ফান্ডিং কোন পূর্বশর্ত নয়। পর্যায়ক্রমে আমার একটি পাবলিক কোম্পানি হয়ে ওঠবো। তবে অবিলম্বে তালিকাভুক্তির কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই।