‘ইইউ ও চীনের ডিজিটাল মুদ্রা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে‘
অধ্যাপক ড্যানিয়েল হডসন এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন যে, ইইউ ও চীনা নতুন ডিজিটাল কারেন্সি বা মুদ্রা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। চীনের রেনমিনবি‘র সংস্করণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হবে। অপরদিকে ইইউ একটি বিকল্প ডিজিটাল ইউরো মডেল সৃষ্টির পরিকল্পনায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লন্ডন নগরীর প্রি-এমিনেন্ট ভূমিকায় অব্যাহত হামলার জন্য একটি বাস্তব প্লাটফর্ম সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ইইউ তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তবে চীনা ও ইউরো সংস্করণগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত একটি শক্তিশালী ও উপযোগী স্টার্লিং প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি, জনগণ, অবস্থান এবং সম্পদ রয়েছে। এই সুবর্ণ সুযোগ থাকা অবস্থায় এবং নিষ্ক্রিয় থাকার স্পষ্ট বাস্তব খারাপ পরিনাম সত্ত্বেও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে যাচ্ছেন। এখন এই বলে আমতা-আমতা করেছেন যে, এটা ২০২৬ সাল নাগাদ চালু করা হবে।
এটা একটি দারুণ সুযোগ। একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। এটা একটি ডিজিটাল পাউন্ড মূল্যমানের মুদ্রা। এই মুদ্রা ব্যাপক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুবিধাসমূহ দেবে । এটা হবে যথাযথ আইনানুগত ভাবে কাঠামোকৃত, নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত।
পুরোপুরি চালু হলে এই ডিজিটাল মুদ্রা সরকারকে ব্যাপক ব্যয় সাশ্রয়, কর সংগ্রহে সুবিধাদি দিবে। রেগুলেটর বা পরিচালনাকারীদের দেবে পূর্ণমাত্রায় সময়োপযোগী তথ্য।আর সাধারণ জনগণকে দেবে প্রবেশযোগ্যতা, যা বিদ্যমান ব্যাংকিং ও অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থাপনায় সম্ভব নয়।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সিবিডিসি‘র খুচরো দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে এবং স্পষ্টত:ই কয়েক বছর পর এটা চালুর চিন্তা ভাবনা করছে। অনেকের মতে, এতে লন্ডন নগরী ও যুক্তরাজ্যের বর্তমান অবস্থার বিস্ময়কর সুযোগ সুবিধা কাজে লাগানো হচ্ছে না। যে পরিস্থিতিকে টেক্সাসের বাসিন্দারা ‘ভূমিতে পাখির বাসা‘ বলে উল্লেখ করে থাকে।
তবে একথা সত্য যে, ডিজিটাল মুদ্রার কিছু নেতিবাচক দিক ও ঝুঁকি রয়েছে।এসব চ্যালেঞ্জের সবগুলোই অনতিক্রমনীয় বা দুর্জয় নয়। এগুলো ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে মোকাবেলা করা সম্ভব।