৩১ জানুয়ারীর মধ্যে নির্বাচন
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা সম্পন্ন
বাংলাদেশী-ব্রিটিশ কমিউনিটিতে বাংলা মিডিয়ার যথার্থ প্রতিনিধিত্ব এবং ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রত্যয় নিয়ে সম্পন্ন হলো লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা। সংগঠনের ১৩০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত আলোচনা-বিতর্কের পর বিশেষ সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয় ক্লাবের নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে নির্বাহী কমিটির মেয়াদ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এবং সাধারণ সদস্যদের সদস্যপদের মেয়াদ সংবিধান অনুযায়ী অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া প্রস্তাবিত এজেন্ডা ও অন্যান্য বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য শীঘ্রই আরেকটি এসজিএম আয়োজনে নির্বাহী কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যদিয়ে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট সঙ্কট ও লকডাউনের ফলে বিলম্বিত হওয়া লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও নির্বাহী কমিটির মেয়াদ বর্ধিতকরণকে আনুষ্ঠানিকতা দিলেন ক্লাব সদস্যরা।
লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমী হলে ১লা আগস্ট রোববার বিশেষ সাধারণ সভায় সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলম্বিত এই দ্বিবার্ষিক সভা ও নির্বাচন এবার তৃতীয় বর্ষে পড়বে। সংবিধান অনুযায়ী সভার সিদ্ধান্তে সাধারণ সদস্যপদে আবেদন গ্রহণ শেষ হবে নির্বাচনের তিন মাস আগে।
বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী। ক্লাব সেক্রেটারী মুহাম্মদ জুবায়েরের পরিচালনায় এতে ট্রেজারার আ স ম মাসুম শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। টানা প্রায় পাঁচ ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে মিডল্যান্ডস ও নর্থ ওয়েস্ট ইংল্যান্ডসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন এলাকার ক্লাব সদস্যরা উপস্থিত হয়ে প্রাণবন্ত বিতর্কে অংশ নেন। সভায় সাধারণ সদস্যপদ ও নির্বাহী কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি ও নির্বাচন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর অন্যান্য এজেন্ডা তথা ইতিমধ্যে উত্থাপিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ও সম্পূরক প্রস্তাবসমূহের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি সভা আয়োজন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এই আয়োজনে প্রায় দেড় বছর পর পরস্পরের সাথে ক্লাব সদস্যরা সরাসরি মিলিত হবার সুযোগ পান।
আলোচনায় ক্লাবের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দসহ সদস্যবৃন্দ অংশ নেন। তারা ক্লাবের নিজস্ব প্রোপার্টি ক্রয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বর্তমান নির্বাহী কমিটিকে অভিনন্দন জানান। কমিউনিটিতে প্রেস ক্লাব যে মর্যাদা আর ঐক্যের দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে সেটি বজায় রাখার ওপরও তারা গুরুত্বারোপ করেন।