ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই
এনাম চৌধুরী: জনৈক ব্রিটিশ কেবিনেট মিনিস্টার স্বীকার করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ও চ্যান্সেলরের মধ্যে সব সময়ই এক ধরনের মতানৈক্য ও সৃজনশীল উত্তেজনা বিদ্যমান। এই খবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে পদাবনতির হুমকি দিয়েছেন। ব্যবসায় সংক্রান্ত মন্ত্রী কাওয়াসি কায়ারটেং বলেছেন, তবে মিঃ জনসন শতভাগ পেছনে আছেন এবং উভয়ই কাজ করছেন, এ ধরনের সম্পর্কের দাবি সত্বেও।
খবরে প্রকাশ, মিঃ জনসন চ্যান্সেলরকে বকাঝকা করেন এবং বলেন যে, তিনি তাঁকে বর্তমান পদ সরিয়ে দেবেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী করে দেবেন।১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসে প্রায় ডজনখানেক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিনি এমনটি বলেন। গত সপ্তাহে মিডিয়ায় ভ্রমণের বিষয়ে বিধি-নিষেধ শিথিল করার আহ্বান জানিয়ে ঋষি সুনাক কর্তৃক তার প্রাইভেট অফিসে যোগাযোগের খবরে প্রধানমন্ত্রী ক্রুদ্ধ হন বলে বলা হচ্ছে।মিঃ কায়ারটেং এ কথা জোর দিয়ে বলেন যে, চ্যান্সেলর এবং প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক এমনিতে ভালোই এবং উভয়ই কোভিড ১৯ মহামারী মোকাবেলায় তৎপর রয়েছেন।
তবে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে, সরকারি ব্যয়ের লেভেলসমূহ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্যের বিষয়টি স্বীকার করেন কি-না, তখন কায়ারটেং বলেন, সবসময়ই মতানৈক্য হচ্ছে। সব সময় ১০ নম্বর ও ১১ নম্বরে মধ্যে কিছুটা সৃজনশীল মতানৈক্য রয়েছে।
তিনি আরো বলেন যে, তিনি মনে করেন না, মিঃ সুনাককে স্বাস্থ্য বিভাগে বদলীর কোনো সম্ভাবনা আছে । প্রধানমন্ত্রী ও কেবিনেটের সবাই ১০০ ভাগ আছেন ঋষি সুনাকের পেছনে।
যাই হোক চ্যান্সেলরের সমর্থকদের অভিমত, প্রধানমন্ত্রী যদি মিঃ সুনাককে চ্যান্সেলরের পদ থেকে অপসারণ করেন,তবে সম্পূর্ণ পথ হারানোর ঝুঁকি নেবেন। সম্ভবত তিনি সুনাককে পেছনের সারিতে সরিয়ে দেয়ার পক্ষে। তবে সুনাক একটি পদানবতি গ্রহণ করবেন না। সেটা হবে হাস্যকর ।