গেটউইক এয়ারপোর্টের রেকর্ড ২৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান
বৃটেনের গেটউইক এয়ারপোর্ট এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, তারা ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। ইতিমধ্যে তারা ২৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান দিয়েছে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে। এ অবস্থায় বিমানবন্দরটি ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধি নিষেধ শিথিলের আহ্বান জানিয়েছে সরকারের প্রতি।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যাত্রীসংখ্যা ৯২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫ লাখ ৬৯ হাজার জনে নেমে আসে। অথচ এক বছর আগে একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৭৫ লাখ। যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ খাত ফ্রান্স ও জার্মানির তুলনায় পেছনে রয়েছে। দেশ দুটিতে ট্রাভেল বুকিং এখন মহামারীর আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ, যখন ব্রিটেনে এই সংখ্যা ১৬ শতাংশ।
গেটউইক এয়ারপোর্ট তার ঋণের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী মওকুফ দাবি করেছিল গত বছর যখন মহামারী তীব্র আকার ধারণ করে। তারা বলেছে, যদি ঋণ মওকুফ ও ভ্রমণ শিথিল সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করা না হয়, তবে ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে ঋণ বাড়বে এবং আইনের প্রয়োগও বৃদ্ধি পাবে।
এয়ারপোর্ট বলেছে, তারা আশাবাদী যে, ঋণদাতারা এক্ষেত্রে সহায়তা করবে, কারণ ব্যবসায়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তারা অবগত। যদিও যুক্তরাজ্যের ৭৫ শতাংশ বয়স্ক লোকজন ডাবল টিকা গ্রহণ করেছেন, তা সত্ত্বেও দেশটির বিমান চলাচল খাত অনেক পিছনে পড়ে আছে। এতে এই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত খাতটির দুর্দশা আরো বাড়ছে।
গেটউইক বিমানবন্দরের চিফ এক্সিকিউটিভ স্টুয়ার্ট উইনগেট বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি আমাদের যে সুবিধা দিয়েছে, তার সুযোগ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারকে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় ও ব্যয়বহুল পিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা পরিহার করতে হবে, বিশেষ ভাবে যারা ইতিমধ্যে টিকার ডাবল ডোজ গ্রহণ করেছেন।
গেটউইক যুক্তরাজ্যের মহামারির ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে তারা তাদের দুটি টার্মিনালের একটি বন্ধ করে দিয়েছে। মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে এই বিমানবন্দরটি ৪ কোটি ৬ লাখ যাত্রী ব্যবহার করে।