যুক্তরাজ্যে জব ভ্যাকেন্সী রেকর্ড বৃদ্ধি
সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ, যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার অব্যহতভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ফলে জব ভ্যাকেন্সীজ অর্থাৎ চাকুরীর পদে শূন্যতা এখন অতীতের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। জুলাই পর্যন্ত গত ৩ মাসে চাকুরীর শূণ্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ লাখ ৫৩ হাজারে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত জুন পর্যন্ত ৩ মাসে বেকারত্বের হার ৪.৭ শতাংশ কমেছে, অপরদিকে বার্ষিক গড় মজুরী বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ।
ওএনএস-এর উপ-পরিসংখ্যানবিদ জোনাথন অ্যাথাউ বলেন, এতো দীর্ঘকাল ধরে গড় মজুরী বৃদ্ধি এতো বেশি পরিলক্ষিত না হলেও, যখন গত বছর লাখ লাখ লোক ফারলোতে ছিলেন এবং পূর্ণ বেতন পাচ্ছেন না, এ অবস্থায় মজুরী বৃদ্ধির বিষয়টি তুলনীয় বটে।
ওএনএস জানায়, জুন ও জুলাইয়ের মধ্যে পে-রোল ১৮২০০০ বৃদ্ধি পায়, যদিও মহামারির আগে ২৮.৯ মিলিয়নে সেটা ২০১০০০ কম ছিলো। পে-রোলে থাকা লোকজনের সংখ্যা এখন গত তিন মাসে ৫ লাখেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারীর শুরুতে যে পতন দেখা গিয়েছিলো,তা থেকে এখন এক পঞ্চমাংশ পুনরুত্থান ঘটেছে।
ব্রিস্টলের একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির সহ-শরিকান অল্লি ব্রাইটম্যান বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ জব মার্কেটের কারণে তিনি স্টাফ সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন। যা-ই হোক, হার্টফোর্ডশায়ারের জনৈক কাঠমিস্ত্রি জানান, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধিতে তিনি লাভবান হয়েছেন।
তিনি দেখতে পাচ্ছেন, ঘণ্টা প্রতি মজুরির হার গড়ে ১৯ পাউন্ডে উন্নীত হয়েছে। ৫৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এজেন্সিসমূহ থেকে কয়েক ঘন্টা পর পর কল পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এটা একটি চমৎকার অনুভূতি। গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমনটি ঘটছে। তারা জানতে চাইছে, যে তুমি কতো চাও,তারা বলছে না যে, আমরা এতো দেবো। এটা একটি দারুন পরিবর্তন।
মিঃ অ্যাথাউ বলেন, সামগ্রিকভাবে কর্মের জগত দারুণভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আগের জরিপের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, গত জুলাইয়ে জব ভ্যাকেন্সি অর্থাৎ চাকুরীর পদশূণ্যতা এই প্রথম ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।