ব্রিটেনে বাড়ির মালিকেরা ভাড়াটেদের চেয়ে বিত্তশালী
ব্রিটেনে বাড়ির মালিকরা গত ৩০ বছর যাবৎ ভাড়াটেদের চেয়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার পাউন্ড বেশি বিত্তের অধিকারী। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইকুইটি রিলিজ সেক্টরের প্রতিনিধিত্বকারী ‘দ্য ইকুইটি রিলিজ কাউন্সিল’ এই বলে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছে যে, প্রপার্টি সিঁড়িতে আরোহণে অক্ষম নতুন প্রজন্মসমূহকে জীবনব্যাপী অসমতায় থাকতে হতে পারে, যারা একটি বড় অঙ্কের অর্থ জমানোর জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, প্রায় তিন জনের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক তাদের মর্গেজকে ভবিষ্যতের জন্য একটি বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করছেন। আর মর্গেজকারী বাড়ির মালিকদের অর্ধেক মনে করেন, তারা অধিকতর সাশ্রয় করতে সক্ষম হচ্ছেন, কারণ নতুন নজিরবিহীন স্বল্প সুদ হারের জন্য তাদের ঋণ ভাড়ার চেয়ে সস্তা বা কম।
প্রায় ৪০ শতাংশ বলেন, তারা মনে করেন, একটি মর্গেজ ভবিষ্যৎ জীবনে অধিকতর গ্রহণযোগ্য বিষয় হবে এবং ৫৭ শতাংশ বলেন, তারা তাদের সম্পত্তি থেকে ইকুইটি রিলিজ চান।
রিপোর্টে দেখা গেছে, বাড়ির মালিকানা পরিবারসমূহের জন্য ভবিষ্যৎ জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা ও কল্যাণের বিষয়ে অধিক সমালোচনার বিষয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যারা সম্পত্তির সিঁড়িতে আরোহনে অক্ষম, তাদেরকে একটি বড়ো অঙ্কের অর্থ জমানো এবং অবসরের জন্য সঞ্চয় সৃষ্টির ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে।
ফাইনাল স্যালারি পেনশন স্কীমের সমাপ্তি ১ হাজার পাউন্ড এর জন্য, তারা একটি ডিফাইন্ড কন্ট্রিবিউশন স্কীম থেকে মাত্র ১৫০ পাউন্ড প্রত্যাশা করতে পারেন।
ইকুইটি রিলিজ কাউন্সিল-এর সভাপতি ডেভিড বুরোয়েস বলেন, সম্পত্তি ও পেনশন অধিকাংশ লোকের আর্থিক নিরাপত্তার বেডরক গঠন করে, তবে সম্পৃক্ততার নীতিমালা গত ৩০ বছর যাবৎ বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি বলেন, লোকজন তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অর্থ জমাতে দায়িত্বশীলতার সাথে জীবনযাপন ও কাজ করছে এবং ভিন্ন জীবন পর্যায়গুলোতে তাদের আর্থিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।
যারা তাদের কর্মজীবনে নিজস্ব বাড়ি কিনতে সক্ষম হচ্ছে এবং যা তাদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের নমনীয়তা দিচ্ছে, এটাই একসময় তাদের আর্থিক কল্যাণের প্রতি বর্তমানের চেয়ে বেশি সমালোচনার বিষয় হতে পারে।