এইচএমআরসি দেড় লাখ শ্রমিককে সতর্ক করেছে
যুক্তরাজ্যের ১ লাখ ৫৫ হাজার শ্রমিককে অনতিবিলম্বে তাদের পে-স্লিপ পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এইচএম রেভিনিউ এন্ড কাস্টমস এই মর্মে জরুরী সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, ১ লাখেরও বেশি কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারেন।
১ লাখ ৫৫ হাজার লোককে এই বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, তারা ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অর্থবছরে কম মজুরি পেয়েছেন।এইচএমআরসি‘র মতে, আইনের বিধান অনুযায়ী সর্বনিম্ন মজুরিটুকু পাননি তারা। এইচএমআরসি‘র ইন্ডিভিডুয়েলস এন্ড স্মল বিজনেস এর পরিচালক স্টিভ টাইমওয়েল বলেন, যুক্তরাজ্যে অধিকাংশ নিয়োগকর্তা তাদের কর্মচারীদের জাতীয় সর্বনিম্ন মজুরি প্রদান করে থাকেন।
যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ নিয়োগকর্তা কর্মচারীদের জাতীয় সর্বনিম্ন মজুরি প্রদান করে থাকেন। তবে এই তালিকায় দেখা যায়, কম সততা সম্পন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের কিছু অজুহাত প্রদান করে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের জন্য কম মজুরি পাওয়া তামাশার বিষয় নয়। তাই আমরা সর্বদা পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়ে থাকি। শ্রমিক-কর্মচারীদের তাদের অধিকার ত্যাগ করার কথা বলা যেতে পারে না। আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে, শ্রমিকেরা তাদের অধিকার অনুযায়ী মজুরি পাচ্ছে এবং অর্থনীতি খুলে যাওয়ায়, নিয়োগকর্তাদের নীতিমালা ও তাদের মধ্যে থাকা সাহায্যের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
এইচএমআরসি এধরনের অজুহাত প্রদানকারী কোন নিয়োগকর্তা কিংবা কোম্পানির নীম উল্লেখ করেনি।
একজন শিক্ষানবিশের মজুরি জাতীয় সর্বনিম্ন মজুরি অনুযায়ী ঘন্টায় ৪.৩০ পাউন্ড এবং ১৮ বছরের কম বয়সীদের মজুরি ঘন্টায় ৪.৬২ পাউন্ড, ১৮ বছর থেকে ২০ বছর বয়সীদের মজুরি ৬.৫৬ পাউন্ড, ২১থেকে ২২ বছর বয়সীদের মজুরি ৮.৩৬ পাউন্ড এবং ২৩ বা তদুর্ধ যেকোন শ্রমিকের মজুরি ঘন্টায় ৮.৯১ পাউন্ড।
লিভিংওয়েজ ফাউন্ডেশন বলেছে, তাদের বিশ্লেষণে ও অফিসিয়াল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, অনিরাপদ ও স্বল্পমজুরীপ্রাপ্ত শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দিয়েছিলো মূলতঃ ফারলোকৃত হওয়ায় , যখন কোভিড মহামারি প্রকট ছিলো। অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় তারা এক-পঞ্চমাংশ কম।