পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে ডিপার্টমেন্ট স্টোর কমেছে ৮৩%
যুক্তরাজ্যে গত পাঁচ বছরে ডিপার্টমেন্ট স্টোরের সংখ্যা কমেছে ৮৩ শতাংশ। ব্রিটিশ খুচরা বিক্রয় চেইন বিএইচএসের পতনের পরই এমন চিত্র দেখা যায়। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে মানুষের কেনাকাটার অভ্যাসে পরিবর্তন আসার ফলে এ চিত্র হাইস্ট্রিটের উত্থানের একটি মাত্রা নির্ণয় করে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক তথ্য, গবেষণা ও পরামর্শদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান কোস্টার গ্রুপের সংকলিত তথ্যের মাধ্যমে এসব জানা যায়। কোস্টার গ্রুপ আরো জানায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব বিক্রয়কেন্দ্রের দুই-তৃতীয়াংশ এখনো কারোর মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়নি। ২৩৭টি বড় আকারের বিক্রয়কেন্দ্র এখনো কোনো নতুন ব্যবসার মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়নি বলেও জানায় তারা।
কোস্টার গ্রুপের বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান মার্ক স্ট্যানসফিল্ড বলেন, এ তথ্যগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুচরা বিক্রয় খাতে পরিবর্তনের চিত্রকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলে। মহামারীর ফলে এ পরিবর্তনের গতি আরো ত্বরান্বিত হয়েছে মাত্র।
২০১৬ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বৃহৎ চেইন বিএইচএস, বেলস, ডেবেনহামস, হাউজ অব ফ্রেজারের বাণিজ্যিক চিত্র গবেষণা ও শনাক্ত করেছে কোস্টার গ্রুপ। পাঁচ বছর আগেও যুক্তরাজ্যে এসব চেইনের অধীনে ৪৬৭টি বিক্রয়কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে এসব চেইনের মাত্র ৭৯টি বিক্রয়কেন্দ্র অবশিষ্ট আছে। একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া ৩৮৮টি বিক্রয়কেন্দ্র নিয়েও নিরীক্ষা চালিয়েছে কোস্টার গ্রুপ।
জুলাইয়ে সম্পন্ন কোস্টারের এক গবেষণায় দেখা যায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব বিক্রয়কেন্দ্রের ২৩৭টি এখনো সম্পূর্ণ খালি অবস্থায় রয়েছে। ৫২টি বিক্রয়কেন্দ্রের কিছু এরই মধ্যে অন্য খাতে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিছু বিক্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য পুনরায় প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বা এসব বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবহার পরিবর্তনের জন্য প্রাথমিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। পরিবর্তনের এসব পরিকল্পনা দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে বলে জানান মার্ক স্ট্যানসফিল্ড।
স্ট্যানসফিল্ড বলেন, আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে দেখতে পাচ্ছি যে রিয়েল এস্টেট মালিকরা এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের শহরের মূল সম্পদগুলোকে পুনরায় কাঠামো দিচ্ছে, যাতে এগুলো পুনরায় যাত্রা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি আগামী মাসগুলোতে আমরা এ-সংক্রান্ত আরো নানা ধরনের পরিকল্পনা দেখতে পাব। ফলে এসব বিক্রয়কেন্দ্র সামনের দিনে নতুন কোনো সুযোগের কাছাকাছি অবস্থান করবে।