ব্রিটেনে হাজার হাজার এটিএম বুথ উধাও

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশ, কয়েক হাজার এটিএম বুথ অর্থাৎ ক্যাশ পয়েন্ট তিরোহিত হয়ে গেছে যুক্তরাজ্য থেকে। মহামারিকালীন সময়ে এসব ক্যাশ পয়েন্টের অনেকগুলো স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, গত ১৮ মাসে প্রায় ৮ হাজার ক্যাশ পয়েন্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যা প্রায় ১৩ শতাংশ। গত বছর মহামারীকালিন দেশব্যাপী লকডাউনের সময় মার্চ থেকে মে’র মধ্যে অধিকাংশ বুথ বা ক্যাশ মেশিনকে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে দেখা গেছে।
গবেষকরা আরো দেখেছেন যে, ২০২০ সালের মার্চে লকডাউনের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই মাসে বিধি নিষেধ প্রত্যাহার পর্যন্ত মোট ব্যাংকের ৮০১ টি শাখা বন্ধ করা হয়। শেষে আরো ১০৩টি শাখা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। লিংক থেকে গৃহীত ক্যাশ মেশিন সংক্রান্ত ডাটা বা উপাত্তের ভিত্তিতে ‘হুইচ’ জানিয়েছে যে, ব্রিটেনে এলাকাভেদে এটিএম বুথ প্রত্যাহারের সংখ্যায় ব্যাপক বৈষম্য বিদ্যমান। পশ্চিম মিডল্যান্ডস-এ প্রত্যাহারকৃত মেশিন চার্জ ইউজারের সংখ্যা ২৮ শতাংশ হলেও সাউথইষ্টে এটা ১৯ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ লোকের হাইস্ট্রিটে ক্যাশ পয়েন্ট ব্যবহারে কিংবা একটি ব্যাংক পেতে কমপক্ষে একটি সমস্যার অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত বছর একটি ক্যাশ পয়েন্ট ব্যবহারে প্রায় এক চতুর্থাংশ লোকের সমস্যায় পড়তে হয়েছে-এদের মধ্যে ১৭ শতাংশ বলেছেন, এটিএম বুথ কাজ করছে না কিংবা টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বুথ থেকে। এছাড়া ৮ জনের ১ জন বলেছেন, তাদের ব্যবহারের একটি ক্যাশ পয়েন্ট অপসারণ করা হয়েছে কিংবা চার্জ আরোপ করা হয়েছে ।
জরীপে প্রায় ২৩ শতাংশ বলেন, তারা ব্যাংকের শাখার বন্ধ ও খোলার সময়ের দরুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত ১২ মাসে অনেকগুলো হাইস্ট্রিট ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের বড়ো কর্তারা অনলাইনে লেনদেন বৃদ্ধির প্রতি নির্দেশনা দেয়ায় এমনটি ঘটে। তবে গ্রাহক গ্রুপগুলো বয়স্ক লোকজন ও যাদের ইন্টারনেটের সুবিধা নেই, তাদের সমস্যার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ’হুইচ’ গ্রাহকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
হুইচ-এর অর্থ বিষয়ক প্রধান গ্যারেথ শ’ বলেছেন, এসব তিক্ত পরিসংখ্যান থেকে ইতোমধ্যে নাজুক হয়ে পড়া ক্যাশ সিস্টেমে, মহামারির ফলে এতে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button