কন্টাক্টলেস কার্ডের ব্যয়সীমা ১০০ পাউন্ডে বৃদ্ধি পাচ্ছে
নোমান আহমদ: সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, ব্রিটেনে প্রতিটি কন্টাক্টলেস কার্ড ব্যবহারের ব্যয় সীমা বা মান ৪৫ পাউন্ড থেকে ১০০ পাউন্ডে বর্ধিত করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর থেকে এটা কার্যকর হবে। লক্ষনীয় যে, মহামারীর শুরুতে ৩০ পাউন্ড থেকে ৪৫ পাউন্ডে তা উন্নীত করা হয় এবং বাজেটে এই সীমা আরো বড় করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়। সকল ডেবিট কার্ডের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে। সচেতন মহল এই বলে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন যে, ব্যয়সীমা বা মূল্যমান বর্ধিতকরণের ফলে অপরাধ বৃদ্ধি পেতে পারে।
২০০৭ সালে যখন কন্টাক্টলেস কার্ড পরিশোধ পদ্ধতি চালু হয়, তখন লেনদেনের সীমানা ১০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়। কার্ডগুলো সাধারণত স্ন্যাক্স, কাগজপত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় গ্রোসারী সামগ্রীর মতো ছোটখাটো জিনিস ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো। পরে কার্ডের ব্যয় সীমা বা মান বাড়ানো হতে থাকে। ২০১২ সালে এটা ২০ পাউন্ডে বর্ধিত করা হয় এবং ২০১৫ সালে উন্নীত হয় ৩০ পাউন্ডে।
মহামারী আসার পর কন্টাক্টলেস কার্ড এর ব্যবহার বেড়ে যায়। অনেক দোকানদার শারীরিক যোগাযোগ এড়াতে কন্টাক্টলেস কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করেন। এর ফলে সরকার ও ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত ব্যয়সীমা ৪৫ পাউন্ডে বৃদ্ধি করেন। পরে আবার এটা ১০০ পাউন্ডে বর্ধিত করা হলো।
ব্যাংকগুলো বলছে, এটা লোকজনকে অর্থ পরিশোধের সুবিধা দেবে, যখন তারা গাড়িতে পেট্রল ভরতে কিংবা সাপ্তাহিক খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে যাবেন।
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেন, কন্টাক্টলেস কার্ডের ব্যয়সীমা বৃদ্ধি অর্থ পরিশোধকে আগের চেয়ে নিরাপদ করবে। যখন লোকজন হাইস্ট্রিটে ফিরে যাবে, তখন লাখ লাখ অর্থ পরিশোধ হবে সহজতর। এতে রিটেইলার ও দোকানীদেরও লাভ হবে। তবে এক্ষেত্রে এমন উদ্বেগও রয়েছে যে, পরবর্তী ব্যয়সীমা বর্ধিতকরণ অপরাধীদের কার্ড চুরিতে প্রলুব্ধ করতে পারে।
ইউসিএল’র জিল ড্যান্ডো ইনিস্টিটিউট অব সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইমস সায়েন্স-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ক্রেডিট ও ডেভিড কার্ডগুলো অপরাধীদের কাছে অত্যন্ত লোভনীয়।