যুক্তরাজ্যে ৫০ হাজার ইভি চার্জিং স্টেশন বসাবে শেল
আগামী চার বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়িতে চার্জ প্রদানের সুবিধার্থে ৫০ হাজার চার্জিং স্টেশন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রয়্যাল ডাচ শেল। জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি সেবার এক-তৃতীয়াংশের জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বহুজাতিক জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
দেশজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাড়াতে যুক্তরাজ্য সরকার জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়ি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে চার্জিং স্টেশন না থাকায় এ উদ্যোগ অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটিতে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যিক শর্তাবলি সাপেক্ষে সরকারি অনুদানের আওতাভুক্ত নয় এমন ইনস্টলেশনের খরচ আগাম প্রদানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেবে রয়্যাল ডাচ শেল। কার্বন নিঃসরণের হার কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে সরকারকে ৭৫ শতাংশ ইনস্টলেশন ফি প্রদান করা থাকে।
দেশটির জাতীয় নিরীক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী, ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত ৬০ শতাংশ পরিবারের নিজস্ব পার্কিং সুবিধা নেই। সামাজিকভাবে বসবাসের ভিত্তিতে এর পরিমাণ ৬৮ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
রয়্যাল ডাচ শেল যুক্তরাজ্যের চেয়ারম্যান ডেভিড বাঞ্চ বলেন, যুক্তরাজ্যজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে চার্জিং স্টেশন বসানোর কার্যক্রমে গতি বাড়ানো জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনের আর্থিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের গাড়িচালকরা যেন সহজেই বৈদ্যুতিক গাড়িতে চার্জ দিতে পারেন সেজন্য আমরা এ স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে আরো অনেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ হবেন।
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী র্যাচেল ম্যাক্লিন বলেন, চার্জিং স্টেশন স্থাপনে প্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী উদ্যোগের প্রকৃত উদাহরণ। এর মাধ্যমে এটি প্রতীয়মান হয় যে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির অবকাঠামো উপযুক্ত।
জুনে সংসদ অধিবেশনে ইউকে কমিটি ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের অগ্রগতি প্রতিবেদনে ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পাবলিক চার্জিং পয়েন্ট স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে দেশজুড়ে এর ব্যাপক ব্যবহার সম্ভব হবে।
২০২৫ সাল নাগাদ ফুয়েল স্টেশন ও বাণিজ্যিক প্রাঙ্গণে চার্জিং স্টেশনের পরিমাণ ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখে রূপান্তর করা হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে শেল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু সংকটের প্রতিকারে আন্দোলনরতদের তোপের মুখে ছিল জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী এ প্রতিষ্ঠান।