হোম অফিস চার্টার ফ্লাইটে ব্যয় করেছে ৯ মিলিয়ন পাউন্ড
হোম অফিস গত বছর অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের জন্য চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য ৯ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ পাউন্ডেরও বেশী অর্থ সেই সব বিমানের জন্য, যেগুলো কখনো টারমার্ক ছেড়ে যায়নি। ২০২০ সালে কম পক্ষে ৮২৮ ব্যক্তিকে বিমানযোগে বহিষ্কার করা হয়। এসংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশী। গত বছর ডিপার্টমেন্ট এক্ষেত্রে ২৪টি দেশে ৪৭টি চার্টার্ড ফ্লাইট পাঠায়, যাতে ব্যয় হয় ৮.২ মিলিয়ন পাউন্ড। এর মধ্যে ইউরোপের দেশসমূহে পাঠানো হয় ১৮টি ফ্লাইট।
একটি ফ্লাইটে ১০ জনের কম লোক পাঠানো হলে হোম অফিস এবিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করে না। ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ১১টিতে ১০জনেরও কম লোক ছিলো। তার মানে সঠিক সংখ্যা অস্পষ্ট।
এছাড়া মন্ত্রীবর্গ ৫টি ফ্লাইটের জন্য ৫৭৫৭৪৮ পাউন্ড পরিশোধ করেন, যেগুলো কখনো ওড়েনি। এগুলোর ২টি স্পেনে, ২টি পাকিস্তানে এবং একটি সোমালিয়ার জন্য চার্টারড করা হয়েছিলো। কর্মকর্তারা বলেন, এসব ফ্লাইটের ক্ষেত্রে তারা নির্ধারিত বাতিলকরণ ব্যয়ের চেয়ে কম অর্থ ব্যয় করেছেন, কারণ এর অনেকগুলো পুনরায় বুক বা পুন:শিডিউল করা হয়।
কয়েকটি ফ্লাইটের গন্তব্য ছিলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যেগুলোতে অভিযুক্ত অপরাধীরা ছিলো। এদের অনেককে তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বহিষ্কৃতদের বেশীর ভাগই আশ্রয়প্রার্থী, যারা ছোট্ট নৌকাযোগে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে এসে পৌঁছে এবং যাদেরকে হোম অফিস ঐসব দেশে ফেরত পাঠায়, যেসব দেশের মধ্যে দিয়ে তারা যুক্তরাজ্যে এসে পৌঁছে।
ডিটেনশন অ্যাকশন-এর পরিচালক বেলা স্যাংকি বলেন, বর্তমানে আমাদের বহিষ্কারকরণ পদ্ধতি অনিরাপদ ও অন্যায় এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করে, এমন এয়ার লাইনগুলোর উচিত তা পরিচালনায় অস্বীকৃতি জানানো।
হোম অফিসের জনৈক মুখপাত্র বলেন, যারা আমাদের আতিথেয়তার অপব্যবহার করে, আমরা তাদের বহিষ্কারের জন্য ক্ষমা চাইনে এবং আমরা ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে ৭৯৮৫ জন বিদেশী অপরাধীকে সাফল্যের সাথে বহিষ্কার করেছি।