নিরাপত্তার কারণে ভেঙ্গে ফেলা হবে গ্রেনফেল টাওয়ার
ফজলু মিয়া: এক মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় যুক্তরাজ্যের গ্রেনফেল টাওয়ারে ৭২ ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর টাওয়ারটি ধ্বংস করে ফেলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। মন্ত্রীবর্গ নিরাপত্তার উদ্বেগ থেকে এ মাসেই টাওয়ার ব্লকটি ভেঙ্গে ফেলার কথা ঘোষণা করতে পারেন। হাউজিং মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেছেন, পশ্চিম লন্ডনের সেকেন্ডারি স্কুল অলড্রিজ একাডেমীসহ স্থানীয় কমিউনিটির জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে পুড়ে যাওয়া এই টাওয়ার। অলড্রিজ একাডেমী এই টাওয়ারের কাছাকাছি অবস্থিত।
সিনিয়র হোয়াইটহল সূত্র জানিয়েছে, সরকার কর্তৃক ভাড়া করা অবকাঠামোগত প্রকৌশল বিশেষজ্ঞরা সন্দেহাতীতভাবে ও ঐক্যবদ্ধভাবে টাওয়ারটি সযত্নে ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এই বলে অবগত করা হয়েছে, চলতি মাসেই গ্রেনফেল টাওয়ারের ভবিষ্যত সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অগ্নিকান্ড থেকে বেঁচে যাওয়া টাওয়ার ব্লকের বাসিন্দা ও স্বজন হারানো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিয়ে গঠিত সংস্থা ‘গ্রেনফেল ইউনাইটেড’ বলেছে, এ সংবাদে তারা দুঃখিত। কারণ সরকার বলেছিল, টাওয়ারের ক্ষতিগ্রস্ত ও বেঁচে যাওয়া লোকজনের সাথে পূর্ণ আলোচনা ছাড়া টাওয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না।
গত মে মাসে গ্রেণফেল টাওয়ারের ভিকটিমদের স্বজনেরা এই সাইটকে একটা ‘ভার্টিক্যাল ফরেস্টে’ রূপদানের পরামর্শ দেন। সরকার ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঘোষনা দিলে তারা এ পরামর্শ দেন। এভাবে পুড়ে যাওয়া কাঠামোটিকে ৭২ প্রজাতির গাছপালার দ্বারা আবৃত করা যাবে, যার প্রতিটি প্রজাতি অগ্নিকান্ডের প্রত্যেক ভিকটিমের প্রতিনিধিত্ব করবে।
হাউজিং মন্ত্রণালয়ের জনৈক মূখপাত্র বলেন, আমরা জানি সিদ্ধান্তটি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর এবং কোন সিদ্ধান্ত এখনো গ্রহণ করা হয়নি। স্টাকচারেল ইঞ্জিনীয়ারদের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ নিরপেক্ষ পরামর্শ গ্রহণের পর আমরা কমিউনিটির সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হবো, যাতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগসহ প্রমাণাদি বিবেচনা করতে পারি এবং এভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে গ্রেনফেল টাওয়ারের ভবিষ্যত কী হবে।
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও বেঁচে যাওয়া লোকজনের অভিযোগ, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ও বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে থেকে ১০ জনেরও কম লোককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের ব্যাপক মতামত পাশ কাটিয়ে গ্রেনফেল টাওয়ারের বিষয়ে এতো তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কী যুক্তি তারা তা বুঝতে পারছেন না।