সেপ্টেম্বরে ফারলো স্কীম শেষ, সপ্তাহে ২০ পাউন্ড কর্তন আসছে
ব্রিটেনে মহামারীকালীন সময়ে চালুকৃত সরকারী ফারলো স্কীম চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে। এর সাথে শুরু হবে সাপ্তাহিক ২০ পাউন্ড ইউনিভার্সেল ক্রেডিট কর্তন। সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ কোটি ৬০ লাখ শ্রমিক-কর্মী গত জুলাই পর্যন্ত ফারলো স্কীমের অধীনে ছিলেন।
অর্থনীতিবিদরা এখন মনে করছেন, চলতি মাসে ফারলো স্কীমের অধীনে শ্রমিক-কর্মীদের আর্থিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে ১০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে। অক্টোবরের শুরুতে ফারলো স্কীম বন্ধ করে দেয়ার সাথে সাথে সাপ্তাহিক ২০ পাউন্ড কেটে নেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য ব্রিট্রিশ সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। পান্থিয়ন ম্যাক্রোইকোনোমিক্স- এর ইউকে অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েল টম্বস্ বলেন, স্কীমের পরিসিমাপ্তির দিকে যাওয়ার সাথে সাথে অগ্রগতি স্পষ্টত:ই ধীর হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান যাদের শ্রমিক-কর্মীরা এখনো ফারলো স্কীমের আওতায় রয়েছে, সেগুলো ক্ষুদ্রতর প্রতিষ্ঠান। তাদের স্টাফদের ফুলটাইম ভিত্তিতে ফিরিয়ে আনতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঐসব ফারলোকৃত কর্মচারী যারা তাদের কাজে ফিরছে, তারা কম কর্মঘন্টা ও মজুরী হ্রাসের সমস্যার সম্মুখীন।
মিঃ টম্বস্ বলেন, বিপুল সংখ্যক কর্মচারী যারা ফারলো স্কীমের অধীনে ছিলো, তারা এখন পার্ট-টাইম কাজ করছে। তবে আমি অক্টোবরে অর্থনীতিতে এমন কোন উত্থান দেখছিনা, যার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে ফুলটাইমের চাকুরীতে ফিরিয়ে আনতে পারবে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস)- এর আগষ্টের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কর্মচারীদের কাজের ঘন্টার সংখ্যা মহামারির আগের সংখ্যার চেয়ে কম। লক্ষণীয় যে, ট্রাভেল ও ট্যুরিজম খাতসমূহ জুলাই মাসে স্কীমের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল ছিলো। কর্মরত যাত্রীবাহী বিমান পরিবহন খাতে প্রতি ২ জনের মধ্যে একজন কর্মী তখনো ফারলোর অধীনে ছিলো। ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্স ইন্ডাষ্ট্রি আবারো ফারলো স্কীমের জন্য বার বার দাবি জানাচ্ছে, যাতে গণ ছাঁটাই এড়ানো যায়।
যখন চাকুরী খোলার সংখ্যা উচ্চ এবং অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, শ্রম বাজার অতিরিক্ত সক্রিয় এবং চাঙ্গা হচ্ছে, তখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যথার্থ দক্ষ শ্রমিক পেতে সংগ্রাম করছে। প্রশাসনিক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে নতুন স্টাফ নিয়োগ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।