লন্ডনের বাইরে বাড়িভাড়া দ্রুতগতিতে বাড়ছে
এক গবেষণায় দেখা গেছে, লন্ডনের বাইরে প্রাইভেট রেন্ট বা বেসরকারি ভাড়া গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামারীর পর লোকজন নগরীর বাইরে বসবাসের পরিকল্পনা করায় এক্ষেত্রে একধরনের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পত্তির ওয়েবসাইট ‘জুপলা‘ বলেছে, রাজধানী লন্ডনের বাইরে যুক্তরাজ্য জুড়ে গড় ভাড়া পাঁচ শতাংশ বেড়েছে গত জুলাই পর্যন্ত।এর সাথে একটি টিপিকাল বার্ষিক রেন্ট বিলের ৪৫০ পাউন্ডেরও বেশী অর্থ রয়েছে,যা ২০০৮ সালে ইনডেক্স শুরুর পর সবচেয়ে বড়ো বৃদ্ধি।
তবে কিছু এস্টেট এজেন্টের মতে, লন্ডন ও অন্যান্য বড়ো নগরী ত্যাগকারী ভাড়াটের জনপ্রিয় জায়াগাসমূহে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে। জীবনযাত্রার পুনর্মূল্যায়নের পর এমনটি ঘটছে।
উইগান,গ্রেটার ম্যানচেষ্টার, ম্যানসফিল্ড, নটিংহ্যামশায়ারে বার্ষিক ভাড়া বেড়েছে ১০ শতাংশ। অপরদিকে হেস্টিং, ইস্ট সাসেক্স এবং নরউইচে বেড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি।
স্ট্রুট এন্ড পার্কার-এর রিজিওনাল রেসিডেন্সিয়াল এজেন্সি প্রধান কেইট ইলস বলেন, নগরীগুলোতে রেন্ট বাড়ছে সুস্থ ভাবে।তবে অধিকাংশ কাঙ্খিত এলাকায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির নজির রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে কটসউল্ডস-এ একটি বাড়ি মাসিক ৩৭৫০ পাউন্ডে ভাড়া গেছে, যখন এর আগে ভাড়া গেছে মাসিক ২২০০ পাউন্ডে। অপর একটি বাসা ভাড়া গেছে ৪১০০ পাউন্ড থেকে ৫৫০০ পাউন্ডে।
লন্ডনবাদে যুক্তরাজ্যে মাসিক গড় ভাড়া চলছে ৭৯০ পাউন্ড। এর মানে হচ্ছে, ভাড়াটেরা গড়ে বার্ষিক ৪৫৬ পাউন্ডেরও বেশী পরিশোধ করছেন।
‘জুপলা’ বলেছে, নগরীতে বসবাসের চাহিদা তীব্রভাবে বাড়ছে, যদিও এর ডাটায় দেখা যায় যে, বার্ষিক ভিত্তিতে লন্ডনে ভাড়া এখনো নিম্নে, যখন উপশহর বা গ্রামাঞ্চলে নতুন জীবনের সন্ধানে ভাড়াটেদের রাজধানী ত্যাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, লন্ডনে ভাড়া হ্রাস শেষ প্রান্তে এসে গেলো গেছে এজন্য যে, ইতোমধ্যে অফিস ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পুনরায় খুলে যাওয়ায় চাহিদা পূনর্গঠিত হয়েছে অর্থাৎ আগের জায়গায় ফিরেছে।
বার্ষিক ভিত্তিতে, লন্ডনের গড় ভাড়া জুলাইয়ে ৩.৮ শতাংশ হ্রাস পায়।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে ফেব্রুয়ারিতে এই হ্রাস ছিলো প্রায় ১০ শতাংশ।