খাদ্য ও পানীয়র দাম বাড়ায় যুক্তরাজ্যে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি
খাদ্য ও পানীয়র মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে গত আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতিতে রেকর্ড পরিমাণ উল্লম্ফন পরিলক্ষিত হয়। বছরখানেক আগে ‘খাও আর রেস্তোরাঁকে সাহায্য দিয়ে মূল্যছাড়’ স্কীমকালীন মূল্যস্ফীতির দারুন হ্রাসকে বদলে দিয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস বলেছে, বার্ষিক মূল্যস্ফীতির কনজ্যুমার প্রাইসেজ ইনডেক্স আগষ্টে ৩.২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, জুলাইয়ে যা ছিলো ২ শতাংশ এবং এটা ২০১২ সালের মার্চ থেকে সর্বোচ্চ। মূল্যবৃদ্ধি সিটি ইকোনমিস্টদের ২.৯ শতাংশের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে এবং জুলাই ও আগস্টের পরিসংখ্যানে ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া রেকর্ডসমূহ থেকে সবচেয়ে বেশি।
ওএনএস আরো বলেছে, পরিসংখ্যান ঋষি সুনাকের ডিসকাউন্ট স্কীমের দ্বারা মারাত্মকভাবে পীড়িত হওয়ায় এই বৃদ্ধি সম্ভবত সাময়িক, যা ২০২০ সালের আগস্ট থেকে সোম হতে বুধবার পর্যন্ত গ্রাহকদের অর্ধেক মূল্যে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ করে।
পরিসংখ্যান এজেন্সি জানায়, স্কিম প্রভাব, যা প্রথম করোনা মহামারীর লকডাউনের পর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রদত্ত হয়, তা মূল্যস্ফীতির হার ০.৪ শতাংশ হ্রাস করেছে। তবে সুপারমার্কেটে খাদ্য ও পানীয়, পেট্রোলের মূল্য, সেকেন্ড হ্যান্ড কার ও কম্পিউটার গেইম ও সিডিসহ অন্যান্য পণ্য ও সেবার একটি বিস্তৃতক্ষেত্র ব্যাপী তীব্র বৃদ্ধি লক্ষণীয়।
শ্রমিক ও সরবরাহে ঘাটতি করোনা মহামারী থেকে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যখন চাপ সৃষ্টি করেছে এবং যখন উচ্চমূল্য হজমে ব্যবসাগুলো হিমশিম খাচ্ছে এবং তা ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দেয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে,তখন এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন ব্যয় ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে সময় নেবে এবং এটা নির্ভর করবে সেইলের পরিমাণ রক্ষায় প্রতিষ্ঠানসমূহ উচ্চমুল্যকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে কিংবা মুনাফার মার্জিনে ছাড় দেয়ার পথ বেছে নিচ্ছে কি-না, তার উপর।
অবশ্য অন্যান্যরা সতর্ক করে বলেছেন, ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাস ও সরবরাহ নেটওয়ার্কে ব্রেক্সিটের চাপ থাকায় মূল্যস্ফীতি অব্যাহতভাবে উচ্চ থাকতে পারে।