খাদ্য ও পানীয়তে ব্রেক্সিটের প্রভাব কোভিডের চেয়েও মারাত্মক
সেইনসব্যারির সাবেক প্রধান এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, খাদ্য ও পানীয়র ওপর ব্রেক্সিটের ক্ষতিকর প্রভাব কোভিড মহামারির চেয়েও বেশি হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত কনভেনিয়েন্স কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে জাস্টিন কিং বলেন যে, সাপ্লাই চেইন ইস্যুর কারণে মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।
মিস্টার কিং আরো বলেন, দুই বছরের মধ্যে আপনারা অনুভব করতে পারবেন যে, ব্রেক্সিট কোভিডের চেয়ে বড়ো ঘটনা। আমি মনে করি, এটা যে সত্য তা এখন স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। এর ফলে আপনার ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট শ্রম একটি অধিকতর ব্যয়বহুল সম্পদে পরিণত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে আমাদের শ্রম পরিস্থিতি এখন কাঠামোগত এবং দীর্ঘমেয়াদী। এর প্রকরণে আসলেই রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি বিদ্যমান।
২০১৭ সালে জাস্টিন কিং এই বলে পূর্বাভাস প্রদান করেন যে, ব্রেক্সিট মূল্যবৃদ্ধি, কম বাছ-বিচারের সুযোগ এবং নিম্ন মানের দিকে ঠেলে দেবে।আইরিশ সাগরে একটি সীমান্ত রয়েছে। আর এটা দূর হচ্ছে না এবং এটা বরাবরই ব্যবসায়ের প্রকৃতি বদলের কাজটি করে যাবে।
মিস্টার কিং মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে আরও সতর্ক করে বলেন, শিল্প মধ্য- সংকটে রয়েছে। আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে এবং আমরা মোটেই জানিনা আমাদের ভ্রমণ কেমন হবে।
২০১৪ সালে পদত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত জাস্টিন কিং সেইন্সব্যারিজ প্যারেন্ট গ্রুপ,জে সেইনসব্যারি পিএসি‘র প্রধান নির্বাহী পরিচালক ছিলেন একদশক। তিনি মার্ক এন্ড স্পেন্সার-এর খাদ্য পরিচালকও ছিলেন। এছাড়া তিনি আসদা’য় উচ্চ পদে কাজ করেন।
খাদ্য ও পানীয়র ওপর ব্রেক্সিটের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সম্প্রতি সেক্টর চিফদের নিকট থেকে বেশকিছু সতর্কবাণীর অন্যতম ছিল তার মন্তব্যগুলো।
গত বৃহস্পতিবার কো-অপ এর চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিভ মুরেলস বলেন যে, সরবরাহ চেইনে সমস্যার কারণে সুপার মার্কেটে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে।
তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে শ্রমিক সংকট প্রকট এবং জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
মার্কস এন্ড স্পেন্সার গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ব্রেক্সিটের কারণে তাদেরকে ফরাসি স্টোরসমূহের মধ্যে ১১টি বন্ধ করে দিতে হবে।
উৎকৃষ্টমানের ব্রিটিশ ব্রান্ড বলেছে, যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের ফলে স্পষ্ট সাপ্লাই চেইন সমস্যাসমূহ থেকে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সরবরাহে ঘাটতি দূর ও মান বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব।