চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৩ শতাংশ
বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ
মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৩ শতাংশ। গত ৫ দশকের মধ্যেই এই প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে গতিসম্পন্ন। গত বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। তবে ভৌগলিক, আয় ও খাত বিবেচনায় এই পুনরুদ্ধার সকল ক্ষেত্রে সমান হয়। উন্নত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে রেন্টিয়ারস্ অর্থাৎ ভাড়াদাতা শ্রেণী সম্পদের ক্ষেত্রে রীতিমতো বিস্ফোরণ দেখতে পেয়েছে, অপরদিকে স্বল্প আয়ের লোকজনকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড ডেভেলাপমেন্ট তাদের এই প্রতিবেদনে আরো বলেছে, উন্নত অর্থনীতিগুলোর নীতিনির্ধারকেরা দেশগুলোর উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনো অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির আকার কিংবা এর গতিধারা নিরূপণ করতে পারেননি। এতে আরো বলা হয়, দক্ষিণের অনেক দেশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চেয়ে বেশি শক্ত আঘাত লাভ করেছে, ফলে তাদের ওপর পড়া ঋণের প্রবল চাপ তাদের আর্থিক নীতিমালা গ্রহণের সুযোগ হ্রাস করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, উন্নত দেশসমূহের মহামারীর ব্যাপারে সাড়াদান সীমাবদ্ধতাকে স্থগিত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও অনুশীলন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মহামারীপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণকে রুদ্ধ করেছে, সৃষ্টি করেছে অর্থনৈতিক চাপের পরিস্থিতি।
আংকটাড অনুসারে, এটা ২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.৬ শতাংশ হ্রাস করবে। বিশ্ব আয় এর মহামারীপূর্ণ ৩.৫ শতাংশ নিচে নামাবে। এতে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সামগ্রিক উপার্জন আয় দাঁড়াবে ১৩ ট্রিলিয়ন পাউন্ড।
অপরদিকে তুরস্কের অর্থনীতিতে ২০২১ সালে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করা যাচ্ছে, আর ২০২২ সালে তা হতে পারে ৩.৬ শতাংশ। ২০১৯ সালের তুলনায় চলতি বছর দেশটির প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক হচ্ছে, সেই গুটি কয়েক দেশের একটি, যার ১.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২০ সালে। একটি নজিরবিহীন ‘ক্রেডিট বুম‘ ও এর পরবর্তী ‘শার্প-আপটিক‘ ঘটেছে তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তুরস্কে ২০২০ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টার বা ত্রৈমাসিকে তীব্র কোন সংকোচন ঘটেনি। বরং এরপর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দেশটির গৃহীত আর্থিক নীতিমালা এবং আসন্ন ক্রেডিট বুম বা বিস্ফোরণের ফলে তা সম্ভব হয়। ২০২১ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সংক্রমণের পুনঃ আবির্ভাব সত্ত্বেও তার প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। আর এর পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে শিল্পখাত ব্যবসাসমূহে সরকারের বাজেটীয় সহায়তা।