রোহিঙ্গা শরণার্থী, জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের পক্ষে তুরস্ক

মুসলিমদের দুর্দশার কথা বললেন এরদোগান

আফগানিস্তানে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ব বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু আফগান ইস্যুতে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ন্যাটোর মিত্র দেশের পরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ব্লিনকেন বলেন, আফগানিস্তানে আঙ্কারা-ওয়াশিংটন একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
আর কাভুসোগলু বলেন, আঙ্কারা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা দিয়ে যাবে। পাশাপাশি দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাও জোরদার করবে’। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দেবে কিনা এমন ইস্যুতে বেশ কিছুদিন দিন ধরেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এই দুই দেশ। কিন্তু আলোচনায় এখনও পর্যন্ত কোন ইতিবাক ফলাফল আসেনি।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের জেনারেল ডিবেটে রোহিঙ্গা শরণার্থী, জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু এবং চীনের উইঘুর মুসলিমদের দুর্দশার কথা তুলে ধরলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফিরে যাওয়া সমর্থন করি। এসব মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে কঠিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আমরা চাই তারা তাদের মাতৃভ‚মিতে ফিরে যান। গত বছরও আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় তিনি এই ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন। তিনি ওই সময় জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে বিতর্কের আহŸান জানিয়েছিলেন। কিন্তু জবাবে ভারত বলেছিল, বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ভারত তখন আরো বলেছিল, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত তুরস্কের। একই সঙ্গে খুব গভীরভাবে নিজেদের নীতির দিকে তাকানো উচিত।
মঙ্গলবার অধিবেশনের জেনারেল ডিবেটে বক্তব্য রাখেন এরদোগান। তিনি বলেন, ৭৪ বছর ধরে কাশ্মীরে যে সমস্যা চলমান তা সমাধানের পক্ষে আমাদের অবস্থান। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এবং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজ্যুলুশনের কাঠামোর মধ্যে। পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক। এ দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইস্যুটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের জেনারেল ডিবেটে তুলেছেন। গত বছর তিনি পাকিস্তান সফর করেন। এ সময়ও তিনি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন। ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, এরদোগানের এসব বক্তব্য ইতিহাসনির্ভর নয়। কূটনৈতিক মানও বজায় রাখে না। এর ফলে ভারতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে বড় রকম প্রভাব পড়বে। ভারত আরো বলে, পাকিস্তানিরা ভয়াবহভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে যে সন্ত্রাস চালায়, তা নিয়ে তুরস্কের মাথাব্যথা নেই। মঙ্গলবার বক্তব্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট চীনের মুসলিম উইঘুর এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অনেক দেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button