যুক্তরাজ্যে জব ভ্যাকেন্সী রেকর্ড ২০ লাখে পৌঁছেছে
যুক্তরাজ্যে জব ভ্যাকেন্সী অর্থ্যাৎ চাকুরীতে শূণ্য পদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ পদ খালি রয়েছে। দেশের ইন্ডাষ্ট্রিগুলোতে স্টাফ স্বল্পতা মারাত্মক। শুধুমাত্র হাউলেজ খাতেই ১ লাখেরও বেশী লোকের প্রয়োজন। সম্ভাবনাময় রিক্রুটদের পেশায় আকৃষ্ট করতে স্বাভাবিকের দ্বিগুণ হারে বেতন প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। ব্রেক্সিট ও কভিডের ফলে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশী শ্রমিকের ঘাটতি সুনির্দিষ্ট কিছু সংকট তৈরি করেছে।
রিক্রুটমেন্ট এন্ড এমপ্লয়মেন্ট কানফেডারেশন (আরইসি)- এর এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষক, কেয়ার ওয়ার্কার, শেফ ও ক্লিনার পদে চাহিদা সবচেয়ে বেশী। এসব ক্ষেত্রে ১০ হাজারের মতো পদ শূণ্য রয়েছে। সংস্থাটির ‘জবস্ রিকোভারি ট্র্যাকার ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে চাকুরীর বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। এতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে মারাত্মক বৃদ্ধির পর মহামারিকালীন যেকোন সময়ের চেয়ে এখন এই সংখ্যা অনেক বেশী। ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের এক সপ্তাহে জব ভ্যাকেন্সী ছিলো ১৯ লাখ ৩ হাজার ৪৫, যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮ শ’ ৫৬।
জব ভ্যাকেন্সীর বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য করা গেছে ওয়েলস্ ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে। এটা অবশ্য লন্ডনে অনেক কম। আরইসি’র চীফ এক্সিকিউটিভ নীল কারবেরী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদিও নতুন পদের সংখ্যা ভালো সংবাদ, তবে জব ভ্যাকেন্সী অর্থ্যাৎ পদশূণ্যতা মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের গতিকে ধীর করে দিতে পারে।
চাকুরীদাতাদের ওপর পরিচালিত আরইসি’র এক সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে, ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশী পদশূন্যতা রয়েছে এবং ৯৭ শতাংশ বলেছেন, এগুলো পূরনে দীর্ঘ সময় লাগছে। শ্রমিক স্বল্পতা এবং নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও উদ্ভাবন ব্যাহত হচ্ছে, তাই দ্রুত এগুলোর সমাধান প্রয়োজন।
দেখা গেছে, লিংকনশায়ারের একটি প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের ঘন্টায় ৩০ পাউন্ড প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে, এটা বার্ষিক ৬২ হাজার পাউন্ড মজুরীর সমান। রিটেইলাররা সরকারকে ইতোমধ্যে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা থেকে ক্রিসমাসকে রক্ষায় আর মাত্র ১০ দিন হাতে আছে।