স্টার্মারের লেবারকে এখনই ‘ছাগল ধরতে’ হবে
এনাম চৌধুরী: উৎসবের সময় বৃটেনের বাসিন্দারা সাধারণত ১ কোটি টার্কি ভক্ষণ করে থাকেন। যদি দেশে এই ইয়ূলটাই পক্ষীর ঘাটতি দেখা দেয়, তখন বরিস জনসনের বিতর্কিত ভূমিকা জনগণের সামনে আসতে পারে। মিঃ জনসন তার ভবিষ্যৎ জটিলতা ও অস্বীকারের ক্ষেত্রে অনেক দূরে চলে গেছেন, যদিও সাম্প্রতিক সকল প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে তার সম্মতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পেট্রোলের প্যানিক বায়িং, সুপার মার্কেটের খালি শেলফ্, শ্রমিকদের বেনিফিটের মারাত্মক কর্তন এসব কিছুতেই এটা লক্ষনীয়।
ইইউ ত্যাগ সরকারকে ভুলের লাইসেন্স প্রদান করেছে আর মিঃ জনসন ভুলের মচ্ছবে মেতে ওঠেছেন। কোভিডের সময় ব্রিটিশ লরি ড্রাইভারেরা মজুরী বৃদ্ধির একটি ব্রেক্সিট মুনাফার বিষয়ে বার্তা পেতে ব্যর্থ হয় এবং তারা তাদের চাকুরী ত্যাগ করে। মন্ত্রীবর্গ ঘাটতি পূরণে ইউরোপীয় শ্রমিকদের ডাকতে বাধ্য হচ্ছেন এবং তাদের দাবি, দেশে ক্রিসমাসের জন্য ছাড়া তাদের কোনো প্রয়োজন নেই।
একজন মিথ্যুককে কেউ বিশ্বাস করে না। একথা সত্য যে, অনেক লেবার ভোটার যারা মিঃ জনসনকে সমর্থন করেছিলো তারা এখনো তাকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ অর্থাৎ সন্দেহের সুবিধা দিচ্ছে। আর এটাই স্যার কেইর স্টার্মারের নির্বাচনী সমস্যার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রী মহামারী মোকাবেলায় তার বিপর্যয়কর ব্যর্থতা ও দুর্নাম এড়াতে ভ্যাকসিন সাফল্যের গল্প ফেঁদেছেন। লেবারের ডামাঢোল তার শিক্ষাগত বিভক্তির মাঝে আবদ্ধ হয়ে পড়তে পারে। দলটির অধিকাংশ সংসদীয় আসনে সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম উভয় গ্র্যাজুয়েট দ্বারা ধারণকৃত।
স্যার কেইর স্টার্মার মহামারি সংকট, অর্থনীতি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং জলবায়ু এসব বিষয়কে বরিস জনসন কর্তৃক ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার ওপর দায় চাপানোর একটি সুযোগ রয়েছে। তবে এজন্য মিঃ জনসন এবং তার পূর্বসূরিদের শেপকৃত অর্থনৈতিক মডেলের সংকটের কারণ বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
লেবার নেতা অতীত থেকেই কিছু কাজে লাগানোর মতো জনপ্রিয় নীতিমালা ঝেড়ে ফেলেছেন। যেমন প্রাইভেট স্কুলগুলোর কর বিরতির অবসান তিনি মহামারীকে একটি রাজনৈতিক টার্নিং পয়েন্ট বা মোড় ঘোরানোর ঘটনা হিসেবে দেখতে রাজী নন বলেই প্রতীয়মান। এধরনের ভুলের জন্য অনেক খেসারত দিতে হতে পারে তাকে। কারণ প্রবাদ আছে, মুত্রত্যাগকালেই ছাগল ধরতে হয়।