শ্রমিক সংকটে ভয়াবহ চাপে ব্রিটিশ অর্থনীতি
শ্রমিক স্বল্পতা যুক্তরাজ্যের সার্ভিস স্টেশনগুলোকে শূণ্য করে ফেলেছে আর সুপার মার্কেটের শেলফ্গুলোকে খালি করে দিয়েছে। এমনকি ফাইন্যান্স ইন্ডাষ্ট্রিতে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। অর্থনীতির প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে পড়া এ সংকট মধ্যম আকারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর গুরুতর চাপ সৃষ্টি করেছে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যদি ব্রিটিশ সরকার ব্রেক্সিট ইমিগ্রেশন নীতিমালা শিথিল না করে, তবে এবারের শীত মৌসুমে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
সম্প্রতি কৃষক, ব্যাংকার, রিটেইলার, ট্রান্সপোর্টার ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পর ব্রিটেনে আরোপিত কঠোরতর অভিবাসন নীতির ফলে শ্রমিক খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, কঠিন হয়ে পড়েছে ব্যবসা পরিচালনা।
সুপার মার্কেটগুলো কিছু নির্দিষ্ট খাবার মজুত রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। অপরদিকে ম্যাক ডোনাল্ড’স (এমসিডি) সাময়িকভাবে মিল্কশেকস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ন্যানডো’র জনপ্রিয় ’পেরি পেরি চিকেন’ নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে। মাংস প্রোসেসররা চাহিদার সাথে তাল মেলাতে পারছে না। কৃষকেরা এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, ক্রিসমাসে যথেষ্ট সংখ্যক টার্কি পাওয়া যাবে না। ব্যাংকসমূহও সতর্কবাণী উচ্চারন করেছে। যুক্তরাজ্যের বিশাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেজ ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রতিনিধিত্বকারী ‘দ্যসিটি ইউ’কে গত বৃহস্পতিবার বলেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও, মেধাবী জনবল সংগ্রহে তার সদস্যদের তাৎপর্যপূর্ণ ব্যয় বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।
সংস্থাটির সিইও মাইলস সেলিক এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে অবশ্যই আমাদের বৈশ্বিক সেরা মেধাবী লোকজন থাকতে হবে। এদের ছাড়া আমরা ফিনটেক কিংবা গ্রীন ফাইন্যান্সের মতো প্রধান প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রসমূহে উদ্ভাবন কর্মকান্ড পরিচালনায় সক্ষম হবো না। এদের ছাড়া আমরা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কসমূহ গঠনে সক্ষম হবো না। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যকে অবশ্যই তার ইমিগ্রেশন প্রোসেসকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। আর্থিক খাত স্বল্প সময়ের জন্য শ্রমিকদের যুক্তরাজ্যে আসা সহজতর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।