শরিয়াহ ভিত্তিক শিক্ষার্থী ঋণ স্কীম বাতিলের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার
মুসলিম সংগঠনগুলো এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করছেন যে, কমিউনিটি যদি এর জন্য চাহিদা প্রদর্শন করতে না পারে তবে ব্রিটিশ সরকার শীগগিরই হালাল স্টুডেন্ট লোন স্কীম বাতিল করতে পারে। এ ব্যাপারে চাহিদা রয়েছে এই বিষয়টি প্রমান করতে মুসলিম কনসেনসাস অর্গ্যানাইজেশন ইসলামিক ফাইন্যান্স গুরু, দ্য ন্যাশনাল জাকাত ফাউন্ডেশন এবং ব্রিটিশ বোর্ড অব ইমামস্ এন্ড স্কলার্স- এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। তারা এই মর্মে সতর্ক করছেন যে, যদি মুসলিম কমিউনিটি জরুরী ভিত্তিতে কাজ না করে, তবে সরকার আগামী মাসেই এই স্কীম বাতিল করে দিতে পারে।
২০১৩ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা করেন যে, যুক্তরাজ্য সরকার একটি শরিয়াহ ভিত্তিক শিক্ষার্থী ঋন স্কীম চালু করবে। তিনি বলেন, ব্রিটেনের একজন মুসলিম যাতে মনে না করেন যে, তিনি কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম হবে না তার ধর্মীয় কারনে একটি শিক্ষার্থী ঋণ না পাওয়ার দরুন।
কিন্তু ৮ বছর চলছে এ ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়নি। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব ইকজিটার- এর শিক্ষার্থী আশা হাসানের নেতৃত্বে হালাল স্টুডেন্ট লোনস্ – এর প্রচারনা পরিচালিত হচ্ছে। তিনি ইতোমধ্যে তার শিক্ষাকালীন এক বছর ব্যয় করেছেন এই স্কীমের ব্যাপারে সরকারের গুরুত্বারোপ নিশ্চিতকরনে।
আশা হাসান গত মাসে ইউনিভার্সিটিজ বিষয়ক মন্ত্রী মিচেল ডোরেলানের সাথে সাক্ষাত করেন। তাকে বলা হয় যে, যদিও স্কীমটি ইতোমধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত, তবু সরকার কমিউনিটি থেকে এ ব্যাপারে কোন চাহিদা জানাতে দেখছেন না। ডোনেলান আরো বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু স্কীমটিকে মঞ্জুরীর সবুজ বাতি দেখানোর পূর্বে আরো প্রমানাদি প্রয়োজন।
আশা বলেন, সরকার মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিকল্প সমাধান প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু তারা বছরের পর বছর দেখতে পাচ্ছেন, ক্রমবর্ধমান হারে মুসলিম শিক্ষার্থীরা শরিয়ত ভিত্তিক ঋন না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তাই এখন তারা এ পর্যন্ত যা করেছে, তা সহ গোটা স্কীম বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, মুসলিমদের জন্য এই জরীপ শরিয়াহ ভিত্তিক পদ্ধতির জন্য আগ্রহ দেখানোর একটি সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের নিজের সমস্যাসমূহ প্রদর্শন করতে হবে।