ব্রিটেনে লাখ লাখ ক্রেতা খাদ্য সামগ্রী ক্রয়ে ব্যর্থ
ব্রিটেনে গত দুই সপ্তাহে লাখ লাখ ক্রেতা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। পন্যবাহী ভারী যানবাহনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে রেহাই পেতে ক্রিসমাসে ব্রিটিশ সেনাদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সৈন্যরাই এসব ভারী যানবাহন চালাবেন।
ওএনএস- এর নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত এক পক্ষকালে ব্রিটেনের প্রতি ৬ জনে ১ জন বাসিন্দা নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী ক্রয়ে সক্ষম হননি। সাম্প্রতিক ‘প্যানিক বাইয়িং’ কালে এ অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। ‘গ্রোসার’ কর্তৃক ১ হাজার গ্রাহকের ওপর পরিচালিত এক জরীপে দেখা গেছে, দুই তৃতীয়াংশ লোক উৎসবের প্রাক্কারে খাদ্য ও পানীয় ঘাটতির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন কিংবা খুব বেশী উদ্বিগ্ন। উৎসবকালে পন্য সামগ্রীর ব্যাপারে নিশ্চিত হতে লাখো উদ্বিগ্ন ক্রেতা ইতোমধ্যে ডেলিভারী স্লট বুক করতে শুরু করেছেন। তিনজনে একজন ক্রেতা ইতোমধ্যে গ্রোসারি সামগ্রী মজুত করতে শুরু করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিটেনকে ধারাবাহিক সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং এইচজিডি সংকট অন্যতম। জানা গেছে, আগামী মাসসমূহে খাদ্য সংকটের ভয়ে প্যানিক বায়িংয়ের ফলে সুপার মার্কেটসমূহের শেলফগুলো শূণ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় গত ২ সপ্তাহে প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে সমর্থ হননি।
মোটামুটি ১৭ শতাংশ অ্যাডাল্ট অর্থাৎ পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, বাজারে না পাওয়ায় তারা এধরনের পণ্য ক্রয় করতে পারেননি। অপরদিকে এক চতুর্থাংশ অ্যাডাল্ট বলেন, অন্যান্য পন্যের ক্ষেত্রে একই অবস্থা ছিলো।
ওএনএস’র জরীপ অনুসারে, ৫৭ শতাংশ ব্যক্তি জানান যে, তাদের প্রয়োজন আছে এমন সামগ্রী তারা ক্রয়ে সক্ষম হচ্ছেন। ব্রিটেনের প্রতি ৭ জনে ১ জন বাসিন্দা জ্বালানী ক্রয়ে সক্ষম হননি। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন বলেন, তাদের খাদ্য সামগ্রী ক্রয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ৪৩ শতাংশ বলেন, পন্যে বৈচিত্র কমেছে এবং ১৪ শতাংশ জানান, তাদের পছন্দনীয় সামগ্রী ক্রয়ের জন্য অধিক সংখ্যক দোকানে যেতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বীকার করেছেন যে, ব্যবসাসমূহ বিশেষভাবে এসএমইগুলো ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে আছে। এগুলোকে সাপ্লাই চেইন ব্যয় ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সম্মুখীন হতে হচ্ছে শ্রমিক স্বল্পতা, জ্বালানী ব্যয় ও কর বৃদ্ধির।