যুক্তরাজ্যে জব ভ্যাকেন্সী গত ২০ বছরে সর্বোচ্চ
যুক্তরাজ্যে জব ভ্যাকেন্সী অর্থাৎ চাকুরীর পদশূণ্যতা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটি সর্বশেষ অফিশিয়েল পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স সূত্র জানিয়েছে, জুলাই ও সেপ্টেম্বরে জব ভ্যাকেন্সী ১১ লাখে পৌঁছে। এটা ২০০১ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।
সূত্র অনুসারে, রিটেইল ও মোটর ভেহিকল রিপেয়ার সেক্টরে সবচেয়ে বেশী চাকুরী বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। ঐ সময় যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার ছিলো ৪.৫ শতাংশ, যা মহামারির পূর্বে ছিলো ৪ শতাংশ। ওএনএস বলেছে, পে-রোলে থাকা কর্মচারীদের সংখ্যায় আরেকটি মাসিক বৃদ্ধি দেখা যায়। সেপ্টেম্বরে এটা ২০ লাখ ৭ হাজার থেকে বেড়ে রেকর্ড ২ কোটি ৯২ লাখে উন্নীত হয়। ওএনএস- এর অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান পরিচালক ড্যারেন মর্গান বলেন, সেপ্টেম্বরে পে-রোলে থাকা কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকুরীর বাজার মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে শুরু করে, যা এখন মহামারির পূর্ব পর্যায়ের চেয়ে অনেক বেশী।
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেন, সরকারের চাকুরী সংক্রান্ত স্ট্রাটেজী বা কলাকৌশল কাজ করছে, এটা উৎসাহব্যঞ্জক। কেপিএমজি ইউকে- এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ঈল সেলফিন বলেন, শ্রম বাজারে বিদ্যমান ঘাটতি মহামারি থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে হ্রাস করতে পারে। সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় মাসের মতো তীব্র দক্ষ শ্রমিক সংকট ভ্যাকেন্সী অর্থাৎ চাকুরীর পদ শূন্যতাকে রেকর্ড লেভেলে নিয়ে যায়, যখন নিয়োগদাতারা দক্ষ স্টাফ পেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
লন্ডনভিত্তিক ফুড হোলসেলার ব্রেইকস- এর সাপ্লাই চেইন পরিচালক মার্ক জেনকিন্স বলেন, ইন্ডাষ্ট্রির ওপর চাপ চরম আকার ধারণ করেছে। স্টাফ ধরে রাখা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃত লোকদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ের কিছু অংশে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মজুরী বাড়াতে হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রাহকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সবকিছু আসলেই জটিল হয়ে ওঠেছে আমাদের জন্য।
আইইএস- এর পরিচালক টনি উইলসন বলেন, চাকুরী পিছু অনেক কম বেকার লোকজন রয়েছে এখন। কমপক্ষে গত ৪০ বছরের মধ্যে এটা সবচেয়ে কম। তিনি বলেন, এসব ঘাটতি আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে পিছুটান। তবে বিজনেস এডিটর ও বিশ্লেষক সাইমন জ্যাক বলেন, এখন চাকুরী অনুসন্ধানের জন্য একটি ভালো সময়। স্টোরি হোমস্- এর পরিচালক কেটি জর্ডান বলেন, এ মুহূর্তে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় নির্মাণ খাতও স্টাফ শূন্যতা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে।