টমি রবিনসনের ওপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
আদালত ইংলিশ ডিফেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা টমি রবিনসনের ওপর ৫ বছরের স্টকিং অর্থাৎ পশ্চাত অনুসরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শেষ রাতে একটি লেখা ছাপানো বন্ধ করতে জনৈক সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করার দরুন তার ওপর এধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আদালতের অভিমত, ইংলিশ ডিফেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা টমি রবিনসন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার সাংবাদিক লিজ্জি ডিয়ারডেনের ঠিকানায় গিয়ে উপর্যুপরি ফিরে যাওয়ার হুমকি প্রদানের দ্বারা সাধারণ হয়রানি ও স্টকিং অর্থাৎ পশ্চাত অনুসরণ সংশ্লিষ্ট তৎপরতার মধ্যকার সীমানা অতিক্রম করেছেন। ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মর্মে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ডেপুটি চীফ ম্যাজিস্ট্রেট তান ইকরাম বলেন, তিনি রবিনসনকে খুঁজে পাননি, প্রকৃত নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন একজন বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী হতে পারেন এবং তিনি অভিযোগকারীর দৈহিক ও মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের প্রতি অব্যাহত ঝুঁকি সৃষ্টি করছেন।
কালো রঙের কর্ডুরয় জ্যাকেট, টি-শার্ট ও জিন্স পরিহিত রবিনসন গত বুধবার আদালতে হাজির হন। তবে শুনানির সময় তিনি আদালত ত্যাগ করেন এবং আর ফিরে আসেননি।
আদালত শুনেন যে, তিনি গত ১৭ জানুয়ারি রাত দশটায় দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর হোম অ্যাফেয়ার্স ও সিকিউরিটি সংবাদদাতার বাড়িতে কীভাবে যান। ঘটনার ২দিন পর ঐ সংবাদদাতা রবিনসনের আইনজীবীদের কাছে ইমেইল করে দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত একটি আর্টিকেল এর বিষয়ে মন্তব্য জানতে চান যে আর্টিকেল বা নিবন্ধে তিনি তার সমর্থকদের নিকট থেকে পাওয়া চাঁদার অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে দাবি করা হয়েছে। রবিনসন একজন প্রাইভেট তদন্তকারীরা ভাড়া করার পর ঐ সংবাদদাতার ব্যক্তিগত তথ্যাদি লাভ করেন ।
আগের একটি শুনানিতে বলা হয় কিভাবে রবিনসন বিল্ডিংয়ের ইন্টারকমে কথা বলেন এবং বাইরে চিৎকার করে ওই সাংবাদিক ও তার সঙ্গী স্যামুয়েল পার্টরিজকে নেমে আসতে ও কথা বলতে বলেন। রবিনসন ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি, একজন নিরাপত্তা প্রহরী তাকে ফিরিয়ে দেয়।
বিচারক রবিনসনের এই মর্মে দেয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেন যে, তিনি মিস ডিয়ারডেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন যাতে তিনি ফিল্মে রেকর্ডকৃত আর্টিকেলের উত্তর পেতে পারেন। আদালত বলেন, বাড়ির বাইরে শেষরাতে রবিনসনের ভীতি সৃষ্টিকারী আচরণ এবং চেঁচামেচি ও কসম খাওয়ার পর তাকে দুর্বল বা খর্ব করেছে।