ইলেকট্রিক কার বিপ্লবের লক্ষ্যে ১ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের ঘোষণা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
এনাম চৌধুরী: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইলেকট্রিক কার বিপ্লবের লক্ষ্যে এক বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন গত মঙ্গলবার। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি ক্ষতিকর গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে বড়ো ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রদানের আবেদন জানান।
এদিকে পরিবেশবাদী গ্রুপ এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে কিছু স্কীম যেমন গৃহস্থালিতে গ্যাস বয়লারের পরিবর্তে স্বল্প কার্বন নিঃসরণকারী হিট পাম্প স্থাপনের জন্য প্রতিটি গৃহস্থালিকে ৫ হাজার পাউন্ড করে মোট ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড মঞ্জুরের বিষয়টি খুবই স্বল্প এবং এটা ৩ বছর ধরে ৯০ হাজার গৃহস্থালীকে প্রদান করা হবে। যদিও মিঃ জনসন এ ব্যাপারে জোর দেন যে প্রাইভেট খাতের বড়ো ধরনের উদ্যোগ ছাড়া শুধু সরকার ও করদাতারা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে হিট পাম্পের মতো প্রযুক্তি স্থাপনে প্রাইভেট খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট’ সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলে, আমি চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে পারি নিশ্চয়ই, তবে আপনারা যেহেতু এই কক্ষে আছেন এর জন্য আপনারা ট্রিলিয়ন পাউন্ড কাজে লাগাতে পারেন।
তিনি এই বলে জোর দেন যে, সরকার ইলেকট্রিক যানবাহন এবং ব্যাটারি তৈরির গিগাফ্যাক্টরি তৈরিতে বড়ো বাজি ধরেছে, হাইড্রোজেন এর জন্য যুক্তরাজ্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, এটা সমাধানের অংশ। তিনি আরো বলেন, সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৭৮ শতাংশ হ্রাসের টার্গেট গ্রহণ করেছে।
এই পরিকল্পনা ব্রিটেনকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকায় নিয়ে এসেছে। অবশ্য সামিটের সাফল্য এখনো ভারসাম্যের সুতোয় ঝুলে আছে। কারণ অনেক দেশে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্রিটেনের গ্লাসগোতে দিন দশেক পর অনুষ্ঠিতব্য ‘কপ২৬ সামিট‘-এ উপস্থিত না থাকতে পারেন।
কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে মিস্টার জনসন সর্বতোভাবে সচেষ্ট। তিনি ৯.৭ বিলিয়ন পাউন্ড এর নতুন বিদেশি বিনিয়োগ চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছেন, যেগুলোর মধ্যে বায়ু ও হাইড্রোজেন জ্বালানী সহায়ক টেকসই বাড়িঘর ও কার্বন আটক ও মজুতকরণ সংক্রান্ত ১৮ টি চুক্তি রয়েছে।