ব্যারিস্টার ইসলাম খান লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের লিগেল কনসালট্যান্ট নিযুক্ত

মেইনস্ট্রিমের সক্রিয় আইনজীবি চার্চকোর্ট চেম্বারের ব্যারিস্টার ইসলাম খানকে লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের লিগেল কনসালট্যান্ট নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির গত ৫ অক্টোবরের সভায় এই নিযুক্তি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। তিনি একজন ‘পাবলিক একসেস’ ব্যারিস্টার। পাবলিক ল, রেগুল্যাটরি এন্ড ডিসিপ্লিনারী ল, চ্যারিটি ও ক্রিমিনাল ল ইত্যাদি বিষয়ে তিনি কাজ করেন।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির নানা চ্যারিটি সংগঠনের আইনী পরামর্শক হিশেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যারিস্টার ইসলাম খান ইতোমধ্যে একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিগ্যাল এজভাইজার হিসেবে সামগ্রিকভাবে ক্লাবের স্বার্থে প্রয়োজনমাফিক যথার্থ পরামর্শ দিতে সম্মত হয়েছেন। তবে এ জন্য তিনি কোনো পেশাদারী ফি নেবেন না।
উল্লেখ্য, বেশকিছু দিন থেকেই ক্লাবের নানা বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন তিনি।
সংগঠনের পরিসর ও কর্মকাণ্ড দিন দিন বৃদ্ধি, নিজস্ব প্রোপার্টিসহ চ্যারিটি কমিশন, অন্যান্য রেগুলেশন, সাংগঠনিক শৃংখলা রক্ষা এবং বিশেষ করে সাংবিধানিক ইস্যুতে যে কোনো সময় ছোট-বড় বিষয়ে খতিয়ে দেখে ক্লাবের সঠিক করণীয় যথাযথভাবে নির্ধারণের জন্য এখন অভিজ্ঞ একজন আইনজীবীর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে ক্লাব মনে করছে। ক্লাবের এসব বিষয়ে এখন থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করবেন এই লিগ্যাল কনসালটেন্ট।
পেশাদার আইনজীবী হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল (জিএমসি), সলিসিটার রেগুলেটরি অথরিটি (এসআরএ) এবং চ্যারিটি কমিশনসহ আরো নানা অথোরিটির সাথে আইনি লড়াই করেছেন।
বিখ্যাত কিংস কলেজ, ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন থেকে এলএলএম করে ২০০৮ সালে ব্যারিস্টারি শুরু করলেও এর আগে জীবনের নানা পর্যায়ে অভিজ্ঞতা নেন ইসলাম খান। পরিবারের প্রয়োজনে রেস্টুরেন্টের শেফ থেকে শুরু করে মালিক হিসেবে রেস্টুরেন্ট পরিচালনাও করেন। কাজ করেন মিলিনিয়াম ডোমে হোস্ট হিসেবে। বিলম্বে পড়াশোনা ও গ্রেজুয়েশন শেষ করে তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ফরেন অফিসের ইউকে ভিসা, হিউম্যান রাইটস পলিসিসহ সরকারের নানা বিভাগে এবং নাইজেরিয়াতে ব্রিটিশ দূতাবাসের এন্ট্রি ক্লিয়ারেন্স অফিসার পদে কাজ করেছেন তিনি।
ব্যারিস্টার খান সম্পর্কে সেক্রেটারী অব স্টেইট ফর হোম ডিপার্টমেন্ট বলেন, আমি তাকে কয়েকবার পর্যবেক্ষণ করেছি। আইনী লড়াইয়ে তার রয়েছে শান্ত, দৃঢ় এবং যথার্থ অবস্থান। এছাড়া ‘এথিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড’-এর ক্ষেত্রে তার রয়েছে সচেতনতা। এসব যোগ্যতা দিয়ে তিনি আমাকেও আইনি চ্যালেঞ্জ করেছেন।
একজন ডিস্‌ট্রিক্ট জাজ বলেন, কোর্টরুমের উপস্থাপনায় তার রয়েছে ব্যাপক দক্ষতা। থাকে অতিরিক্ত প্রস্তুতি। লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাব আশা করছে তাঁর অভিজ্ঞ পরামর্শ ক্লাবের আগামী দিনগুলোর পথচলায় যথেষ্ট সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button