লন্ডনে বাড়ির মূল্য ২৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
ফজলু মিয়া: লন্ডনে বাড়ির মূল্যে যুগান্তকারী চাংগাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লন্ডনে বাড়ির মূল্য গত আগষ্টে গড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা মূলতঃ ৩৬ হাজার ৪৬৯ পাউন্ড। এই বৃদ্ধির পরিমান দৈনিক ১০০পাউন্ড। গত ২৭বছরের মধ্যে এটা সবচেয়ে বড়ো মূল্যবৃদ্ধি। লন্ডনে বাড়ির গড় মূল্য ঐ মাসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ৪লাখ ৯৮ হাজার ৮৩ পাউন্ড থেকে রেকর্ড ৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৩ পাউন্ডে উন্নীত হয়।
মূল্যমান বৃদ্ধি পায় প্রায় ২৮ হাজার পাউন্ড। বর্তমানে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৭দশমিক ৫শতাংশ, যা ২০১৬ সালের ইইউ রেফারেন্ডামের ঠিক পরে ঐ বছরের আগষ্ট থেকে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি।
সম্পত্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ধরণের উল্লেখযোগ্য পুনরুত্থানের পেছনে কাজ করেছে ডমেষ্টিক বায়ার অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ ক্রেতাদের মাঝে ক্রমবর্ধমান চাহিদা। জুলাইয়ে করোনা মহামারির বিধি নিষেধ প্রত্যাহার এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাবর্তন থেকে এমনটি ঘটে।
ব্রেক্সিটের ধাক্কায় ক্রেতারা বিপর্যস্ত হলে এবং করোনা মহামারি হাজার হাজার বাসিন্দাকে লন্ডনের বাইরে বাড়ি করতে আগ্রহী করলে, লন্ডনের সম্পত্তির বাজারে হতাশা দেখা দেয়। এছাড়া ঋষি সুনাকের স্টাম্প ডিউটি মওকুফ নগরীর বাইরে আঞ্চলিক মার্কেটসমূহে অধিকতর প্রভাব ফেলে।
বেনহাম এন্ড রীভস্ এজেন্ট ডিরেক্টর মার্ক ভন গ্রান্ডহার বলেন, মহামারীর দু’টি বিষয় সম্পত্তির বাজারকে চাংগা করেছে। প্রথমটি হচ্ছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রত্যাবর্তন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বিদেশী ক্রেতাদের স্রোত, যা মহামারির সময় স্থবির ছিলো। এখন বিধি নিষেধ প্রত্যাহার হতেই বিদেশীরা আসতে শুরু করেছেন। ফলে চাংগা হয়ে ওঠেছে বাজার।
স্যাভিলস্-এর সিনিয়র গবেষণা বিশ্লেষক লরেন্স বাউলেস বলেন, যদিও অন্যান্য স্থানের তুলনায় লন্ডনে মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন অর্থাৎ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, তবুও পাউন্ডের হিসাবে এই মূল্যবৃদ্ধি অন্যান্য যে কোন অঞ্চলের তুলনায় বেশী অর্থাৎ ৩৬ হাজার ৪৬৯ পাউন্ড।