যুক্তরাজ্য একটি কঠিন শীতকালের সম্মুখীন
ব্রিটিশ চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, ব্রিটেন একটি জটিল শীতকালের সম্মুখীন এবং ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাওয়া করোনাভাইরাস সংক্রমন হ্রাস করা যাবে কি-না, এ ব্যপারেও অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রীবর্গকে তাদের অনিচ্ছা সত্বেও বিধি-নিষেধ পুনরায় আরোপের জন্য অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং তাদের প্রাকৃতিক বিরক্তির ভেতর দিয়েই অগ্রসর হতে হবে।
হাসপাতালগুলোকে অ্যাম্বুলেন্সের রোগী হ্যান্ডওভারে বিপর্যয়কর বিলম্বের ইতি ঘটাতে আদেশ প্রদানের পরই স্যার প্যাট্রিক এই মন্তব্য করেন। এধরনের বিলম্ব কমপক্ষে একটি ঘটনায় মারাত্মক বলে প্রমানিত হয়েছে। কভিড-১৯ এর শংকাপূর্ণ শীতকালীন বিস্তারের আগেই এটা করতে হবে।
এনএইচএস ইংল্যান্ড (এনএইচএসই) প্যারামেডিকরা তাদের কাছে পৌঁছার আগেই লোকজন মারা যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে এবং বলেছে, প্রচন্ড চাপের দরুন অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা এএন্ডই ডিপার্টমেন্টগুলোর বাইরে অপেক্ষার জটে আটকে থাকার ফলে হাসপাতালে রোগীদের হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
অপরদিকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীরা আসন্ন শীত ঋতুতে নতুন কোন লকডাউন দেয়ার প্রত্যাশা করছেন না, এমনকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রদেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা থাকা সত্বেও তারা নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের পক্ষপাতী নন।
আইরিশ প্রধানমন্ত্রী কনর মার্ফি বলেন, তা সত্বেও এখনো একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপের আবশ্যকীয়তা রয়েছে। আমি আরেকটি লকডাউনে যাওয়ার প্রত্যাশা করিনা। তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের ব্যাপারে এটা একটি অনিশ্চিত সময় এবং আমরা দক্ষিনে একই সাথে ব্রিটেনে ও এখানে সংক্রমন বৃদ্ধি পেতে দেখেছি।