খোকাসহ বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান
সাদেক হোসেন খোকাসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার মধ্যরাতে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক খোকা বিকালে দলের এক সভায় ২৫ অক্টোবর সরকারি দলের যে কোনো হামলা মোকাবেলায় দলীয় কর্মীদের দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তত থাকতে বলেন।
এরপর পর রাত ৮টার দিকে ঢাকার সাবেক মেয়রের বাড়িতে পুলিশ অভিযানে যায় বলে রিজভী দাবি করেন। তবে খোকা তখন বাড়িতে ছিলেন না।
“রাতে সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে সাদেক হোসেনের বাসায় ঢুকে পুলিশ তল্লাসি চালিয়েছে। ওই সময়ে তাদের (পুলিশ) যে রকম চণ্ডমূর্তি দেখা গেছে, তিনি (খোকা) থাকলে গ্রেপ্তার হতেন।”
রিজভী জানান, দুপুর ২টার দিকে তার বাড়িতেও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা অভিযানে যায়।
“এভাবে আজ বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোট নেতাদের অনেকের বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে।”
পুলিশি হানার অভিযোগ করলেও কাউকে গ্রেপ্তারের কথা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়নি।
এই বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
খোকা দলীয় সভায় বলেছিলেন, “পাড়ায়-মহল্লায় নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ হামলা চালালে তার পাল্টা জবাব দেয়া হবে। দা-কুড়াল-বল্লম-খন্তা-লাঠিসোঁটাসহ যা কিছু আছে, তা নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
রিজভী সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “বক্তব্য রাখা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার এই অধিকারকে আজ দমন করতে চাচ্ছে। সরকারকে বলব, এরকম নির্যাতনের পথ থেকে সরে আসুন। নইলে ফল শুভ হবে না।”
“সাদেক হোসেন খোকা এই সরকারের বিরুদ্ধে শক্তভাবে কথা বলছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন। এজন্য তিনি আজ তাদের রোষাণলে পড়েছেন।”
সরকার আগামী ২৫ অক্টোবর বিএনপির সভা পণ্ড করতে নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কর্মীদের মনে ভয় ধরাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
“তবে কোনো ভয়ভীতিতে কাজ হবে না। ২৫ তারিখের জনসভায় মানুষ পদাতিকের মতো ভূমিকা পালন করবে। তারা গণতন্ত্রের ভাষা ধারণ করে এই জনসভায় যোগ দেবে।” বিডিনিউজ